- জুলাই ২৮, ২০২৫
- শীর্ষ খবর
- 3

হবিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে ৫ আগস্ট ৯ জন ছাত্রজনতা হত্যাকাণ্ডের সময় এক এসআই নিহতের ঘটনায় ১০ হাজার জনকে অজ্ঞাত আসামি করে পুলিশ মামলা দায়ের করে। উক্ত হয়রানিমূলক মামলাটি অবিলম্বে স্থায়ীভাবে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে।
রোববার (২৭ জুলাই) হবিগঞ্জ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব মাহদী হাসান স্বাক্ষরিত এ স্মারকলিপিটি সংগঠনের আহ্বায়ক আরিফ তালুকদার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মুহাম্মদ আবদুল্যাহ আল জাবেদের নিকট প্রদান করেন।
হবিগঞ্জ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব মাহদী হাসান বলেন, আমরা স্মারকলিপি দিয়েছি। আন্দোলনটি ছিল দেশের আপামর জনতার। এ আন্দোলনে সর্বস্তরের মানুষ ঝাপিয়ে পড়েছিল। বানিয়াচংয়ে একটি শান্তিপূর্ণ মিছিলে পুলিশের এসআই সন্তোষ বিনা উসকানিতে গুলি চালিয়ে ৯ জন ছাত্রজনতাকে শহীদ করেছিলেন। তখন হাজার হাজার বিক্ষুব্ধ জনতার রোষানলে পড়েন তিনি। আমরা লক্ষ্য করেছি পরবর্তীতে ঐতিহাসিক এ ক্ষোভকে হত্যাকাণ্ড বলে ১০ হাজার অজ্ঞাত ছাত্রজনতার বিরুদ্ধে পুলিশের তরফ থেকে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এটি সম্পূর্ণ একটি হয়রানিমূলক ও বানোয়াট মামলা বলে আমরা মনে করছি। এছাড়া মামলাটি ইতিহাস বিকৃতি ও জনগণের প্রতিবাদ দমনের অপচেষ্টা। তাই অবিলম্বে মামলাটি স্থায়ীভাবে প্রত্যাহারের জন্য আমরা দাবি জানাই।
স্মারকলিপিতে তারা উল্লেখ করেন, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট এসআই সন্তোষের গুলিতে নিরীহ মানুষ নিহত ও শতাধিক আহত হলে উত্তাল হয়ে ওঠে বানিয়াচং। সাধারণ মানুষ প্রতিরোধ গড়ে তোলে। তবে সেই প্রতিরোধকে ‘হত্যাকাণ্ড’ হিসেবে তুলে ধরে পুলিশের পক্ষ থেকে ১০ হাজার ‘অজ্ঞাত’ ছাত্র-জনতার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। যা ইতিহাস বিকৃতি ও নিপীড়নের অপচেষ্টা। এসআই হত্যাকাণ্ডে দায়ের করা মামলা স্থায়ীভাবে প্রত্যাহার, নিহত ও আহতদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি ও পুনর্বাসন, ন্যায্য প্রতিবাদকে সন্ত্রাস বা হত্যাকাণ্ড বলার সরকারি অপপ্রয়াসের প্রতিবাদ ও নিন্দা জানানো হয়।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্রজনতা একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি ঈদগাহের সামনে পৌঁছালে তৎকালীন এসআই সন্তোষ গুলি ছুড়তে থাকেন। এসময় উপর্যুপরি গুলিতে ৯ জন ছাত্রজনতা শহীদ হন। তখন হাজার হাজার মানুষ বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। এসময় মারা যান এসআই সন্তোষও।
এক পর্যায়ে সেনাবাহিনী ও বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক জি কে গউছ ঘটনাস্থলে ছুটে যান। বিক্ষুব্ধ জনতাকে শান্ত করতে বক্তব্য দেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শেষ পর্যন্ত রাতে পরিস্থিতি শান্ত হয়।