- অক্টোবর ২, ২০২৫
- আন্তর্জাতিক
- 2

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা অভিমুখী ত্রাণবাহী নৌযানের বহর আটকের ঘটনাকে ইসরায়েলের ‘জলদস্যুর কাজ’ বলে অভিহিত করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান। নিজের রাজনৈতিক দল একে পার্টির সমাবেশে বক্তৃতা দেওয়ার সময় এই মন্তব্য করেছেন তিনি।
এরদোয়ান বলেছেন, আন্তর্জাতিক জলসীমায় ইসরায়েলের এই ধরনের পদক্ষেপ প্রমাণ করে গণহত্যাকারীরা গাজায় নিজেদের অপরাধ ঢাকার জন্য উন্মাদ হয়ে গেছে
তিনি বলেন, গণহত্যাকারী (ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন) নেতানিয়াহুর সরকার শান্তি প্রতিষ্ঠার সামান্যতম সম্ভাবনাও সহ্য করতে পারছে না।
তুরস্কের এই প্রেসিডেন্ট বলেন, গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা আবারও বিশ্বকে গাজার নৃশংসতা ও ইসরায়েলের হত্যাকারী চেহারা তুলে ধরেছে। আমরা আমাদের ফিলিস্তিনি ভাইবোনদের ছেড়ে যাবো না। যুদ্ধবিরতি ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় আমরা সর্বশক্তি দিয়ে কাজ করবো।
প্রায় ৪৫টি জাহাজ নিয়ে গঠিত ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’ নৌবহর গত মাসে স্পেন থেকে গাজার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে। এতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ফিলিস্তিনপন্থী রাজনীতিবিদ ও মানবাধিকারকর্মীরা রয়েছেন। তাদের মধ্যে সুইডিশ জলবায়ু আন্দোলনকর্মী গ্রেটা থুনবার্গও আছেন।
ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের ওপর ইসরায়েলের আরোপিত অবরোধ ভাঙাই ছিল এই নৌবহরের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য। গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি যুদ্ধে ইতোমধ্যে দুর্ভিক্ষ শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। বুধবার থেকেই ইসরায়েলি নৌবাহিনী ফ্লোটিলার বহরে থাকা নৌযান আটক করতে শুরু করে।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শত মত মানবাধিকারকর্মী, রাজনীতিক ও সাংবাদিকদের বহনকারী গাজা অভিমুখী ফ্লোটিলার ৪৫টি জাহাজের প্রায় সবগুলোই আটক করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। এই মানবাধিকার কর্মীরা ইসরায়েলের আরোপিত গাজার সামুদ্রিক অবরোধ ভাঙার চেষ্টা করছিলেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া বিবৃতিতে ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, হামাস-সুমুদ জাহাজের যাত্রীদের নিরাপদে ইসরায়েলে নিয়ে আসা হচ্ছে। তাদের ইউরোপে পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হবে। যাত্রীরা সুস্থ ও নিরাপদ আছেন। এক্স পোস্টে থুনবার্গ ও অন্যান্য কর্মীদের ছবিও প্রকাশ করেছে ইসরায়েল।
সূত্র: আল জাজিরা।