- অক্টোবর ২, ২০২৫
- খেলাধুলা
- 2

ক্রীড়া ডেস্কঃ লক্ষ্য ১৫২ রানের। ১১ ওভার পার হতেই বিনা উইকেটে ১০৯ রান তুলে ফেলেছিল বাংলাদেশ। মনে হচ্ছিল, সহজেই বড় ব্যবধানে জিততে যাচ্ছে। সেখান থেকে ৯ রানের ব্যবধানে ৬ উইকেট হারিয়ে হারের শঙ্কায় পড়ে টাইগাররা।
শেষ পর্যন্ত অবশ্য বিপদ হয়নি। সহজ ম্যাচ কঠিন করে জিতেছে জাকের আলীর দল। শারজায় সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে আফগানিস্তানকে ৪ উইকেট আর ৮ বল হাতে রেখে হারিয়েছে বাংলাদেশ। তিন ম্যাচ সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে টাইগাররা।
রান তাড়ায় উড়ন্ত সূচনা করে বাংলাদেশ। তানজিদ হাসান তামিম আর পারভেজ হোসেন ইমন পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে তোলেন বিনা উইকেটে ৫০ রান।
ওপেনিং এই জুটিতে ১১ ওভারের মধ্যেই ১০০ পার করে বাংলাদেশ। ৩৫ বলে ফিফটি করেন ইমন। এক বল কমে হাফসেঞ্চুরি হাঁকান তামিম। তাদের ১০৯ রানের ওপেনিং জুটি ভাঙে ১২তম ওভারে ইমনের এলবিডব্লিউয়ে। ৩৭ বলে ৪ বাউন্ডারি আর ৩ ছক্কায় ৫৪ রান করে ফেরেন ইমন।
পরের দুই ওভারে রশিদ খানের ঝলকে ম্যাচে ফেরে আফগানিস্তান। এই লেগি ওভারে দুইটি করে শিকার করেন ৪ উইকেট। বিনা উইকেটে ১০৯ থেকে ৬ উইকেটে ১১৮ রানে পরিণত হয় বাংলাদেশ। অর্থাৎ ৯ রানে হারায় ৬ উইকেট।
এশিয়া কাপ মাতানো সাইফ হাসান রানের খাতা খোলার আগেই এলবিডব্লিউ। তিন বল পর উইকেটরক্ষকের ক্যাচ তামিম। ৩৭ বলে ৩টি করে চার-ছক্কায় ৫১ রানের ইনিংস খেলেন বাঁহাতি এই ওপেনার।
নিজের পরের ওভারে আরও ২ উইকেট রশিদের। জাকের আলী ৬ আর শামীম পাটোয়ারী ০ রানে হন এলবিডব্লিউ। তার পরের ওভারে নুর আহমেদের বলে এলবিডব্লিউ তানজিম হাসান সাকিব (০)। তার অবশ্য ব্যাটে বল লেগেছিল। আম্পায়ার আঙুল তুলে দেন। রিভিউ ছিল না বাংলাদেশের।
১১৮ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে হারের শঙ্কায় পড়ে বাংলাদেশ। সেখান থেকে রিশাদ হোসেন আর নুরুল হাসান সোহান ম্যাচ বের করে নিয়ে আসেন। রিশাদ ৯ বলে ১৪ আর সোহান ১৩ বলে ১ চার ও ২ ছক্কায় অপরাজিত থাকেন ২৩ রানে।
রশিদ খান মাত্র ১৮ রান দিয়ে শিকার করেন ৪ উইকেট।
এর আগে ১৬ ওভার শেষে ছিল ৬ উইকেটে ১০০ রান। শেষ ৪ ওভারে আরও ৫১ রান তোলে আফগানিস্তান। সবমিলিয়ে ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৫১ রান করেছে আফগানরা।
শারজায় টস জিতে ব্যাটিং বেছে নেয় আফগানিস্তান। তবে খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি। পাওয়ার প্লেতে আফগানরা তুলতে পারে ৩ উইকেটে মাত্র ৩৩ রান।
আত্মবিশ্বাসী শুরু করা আফগানিস্তানের ইনিংসে চতুর্থ ওভারে আঘাত হানেন নাসুম আহমেদ। ১০ বলে ১৫ করে বোল্ড হন ইব্রাহিম জাদরান।
সেদিকুল্লাহ অতল হন তানজিম হাসান সাকিবের শিকার। তার শর্ট ডেলিভারিতে ব্যাট চালালে বল সোজা আকাশে উঠে যায়। ক্যাচ নেন পারভেজ হোসেন ইমন। ১২ বলে ১০ করে ফেরেন অতল।
মোস্তাফিজুর রহমানের করা পরের ওভারে রহমানুল্লাহ গুরবাজের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে ননস্ট্রাইকার এন্ডে একই প্রান্তে চলে এসেছিলেন দারউইশ রসুলি (২ বলে ০)। বোলার মোস্তাফিজই বল ধরে স্ট্রাইকার এন্ডে জাকের আলীকে দেন, স্টাম্প ভেঙে রানআউট নিশ্চিত করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
সপ্তম ওভারে রিশাদ হোসেনকে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে শামীম পাটোয়ারীকে ক্যাচ দেন মোহাম্মদ ইসাক (৪ বলে ১)। ৪০ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে আফগানিস্তান।
সেখান থেকে একটি জুটি গড়েন আজমতউল্লাহ ওমরজাই আর রহমানুল্লাহ গুরবাজ। তাদের ২৭ বলে ৩৩ রানের জুটিটি ভাঙেন রিশাদ। লং অন বাউন্ডারিতে ক্যাচ হন বল সমান ১৮ রান করা ওমরজাই।
একটা প্রান্ত ধরে ছিলেন গুরবাজ। ছক্কা খেয়ে এক বল পরেই তাকে স্লোয়ারে বিভ্রান্ত করেন তানজিম সাকিব। ৩১ বলে ৪০ করে ফেরেন গুরবাজ। একশর আগে (৯৫) রানে ৬ উইকেট হারায় আফগানিস্তান।
সেখান থেকে দলকে লড়াকু পুঁজির পথ গড়ে দেন মোহাম্মদ নবি। তাসকিন আহমেদকে ১৮তম ওভারে তিন ছক্কা হাঁকিয়ে আউট হন তিনি। ২৫ বলে নবির ব্যাট থেকে আসে ৩৮। রশিদ খানকে ৪ রানে উইকেটরক্ষকের ক্যাচ বানান মোস্তাফিজ। শেষদিকে ১২ বলে ১৭ রানের ক্যামিও উপহার দেন শরফুউদ্দিন আশরাফ।
দুটি করে উইকেট নেন তানজিম হাসান সাকিব আর রিশাদ হোসেন।