- অক্টোবর ১৭, ২০২৫
- লিড নিউস
- 22

নিউজ ডেস্কঃ সিলেট আদালত প্রাঙ্গণে খবর সংগ্রহের সময় সাংবাদিকের ওপর হামলা ও মোবাইল ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনায় কোম্পানীগঞ্জের সাদাপাথর ও বালু লুট মামলায় গ্রেপ্তার আওয়ামী লীগ নেতা কাজী আবদুল ওয়াদুদ আলফুসহ তিনজনের নাম উল্লেখ করে ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এটি আলফু মিয়ার বিরুদ্ধে ২০ তম মামলা।
হামলার শিকার ইমজা নিউজের সাংবাদিক নয়ন সরকার বৃহস্পতিবার রাতে সিলেট কোতোয়ালি থানায় মামলাটি করেন। এতে আওয়ামী লীগ নেতা কাজী আবদুল ওয়াদুদ, তাঁর ভাই ও ছেলে কাজী বায়জিদ আহমেদ-কে আসামি করা হয়। এছাড়া অজ্ঞাতপরিচয় আরও চার থেকে পাঁচজনকে আসামি করা হয়েছে।
সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (গণমাধ্যম) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, অভিযোগ পাওয়ার পর তা মামলা হিসেবে এফআইআর করা হয়েছে।
তিনি বলেন, `মামলার প্রধান আসামি বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।’
আওয়ামী লীগ নেতা কাজী আবদুল ওয়াদুদ (আলফু) আদালত চত্বরে পুলিশ হেফাজতে থেকে সাংবাদিকের ওপর হামলা চালায়। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের মুঠোফোন কেড়ে নিয়ে যায়। একই সময়ে ওয়াদুদের ছেলে আরেক সাংবাদিকের মুঠোফোন কেড়ে নিয়ে সেখান থেকে পলিয়ে যায়।
দুপুরে রিমান্ড শুনানির জন্য আলফুকে আদালতে হাজির করা হয়। শুনানি শেষে আদালত ভবনের চতুর্থ তলা থেকে তাকে হাজতখানায় নেওয়া হচ্ছিল। ওই মুহূর্তের ভিডিও ধারণ করছিলেন কয়েকজন সাংবাদিক। এ সময় পুলিশ হেফাজতে থাকা অবস্থায় তিনি ইমজা নিউজের সাংবাদিক নয়ন সরকার ও বিশাল দে’র উপর হামলা চালায় আলফু ও তার সহযোগী সন্ত্রাসীরা। তখন নয়ন সরকারের মুঠোফোনটি আলফু নিজে কেড়ে নেন। আর ক্যামেরাপর্সন বিশালের মুঠোফোন কেড়ে নেন তার ছেলে কাজী বায়জিদ আহমেদ ও তার সহযোগীরা। এ সময় অন্য সাংবাদিকেরা এগিয়ে গেলে উপস্থিত সকল সাংবাদিকের উপর ত্রাস সৃষ্টি করে হামলা চালায় আলফু বাহিনী। এ হামলার নেতৃত্ব দেয় আলফুর ছেলে বায়েজিদ।
নয়ন সরকার বলেন, মুঠোফোনটি নেওয়ার সময় পুলিশ নীরব ভূমিকায় ছিল। পরে পুলিশ জানায়, তারা একটি মুঠোফোন আলফু মিয়ার কাছ থেকে উদ্ধার করে কোর্ট পুলিশের জিম্মায় রেখেছে ।
পরে বেলা আড়াইটার দিকে আসামিকে হাজতখানা থেকে প্রিজন ভ্যানে নিয়ে যাওয়ার সময়ও আসামির লোকজন সাংবাদিকদের ওপর চড়াও হন। এ সময় আবদুল ওয়াদুদ সাংবাদিকদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছেন।
অভিযুক্ত কাজী আবদুল ওয়াদুদ কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি এবং তেলিখাল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। তাঁর বিরুদ্ধে সাদাপাথর ও বালু লুট, হত্যা ও ছাত্র আন্দোলনে হামলাসহ ১৯টি মামলা রয়েছে। বর্তমানে তিনি একটি মামলায় রিমান্ডে আছেন।