• অক্টোবর ১৮, ২০২৫
  • শীর্ষ খবর
  • 3
চা শ্রমিকরা এখন নিজেদের অধিকারের কথা বলতে পারেন: শ্রম ও কর্মসংস্থান সচিব

নিউজ ডেস্কঃ চা বাগানের শিশুদের স্কুল পরিদর্শন ও নারী চা শ্রমিকদের সাথে মতবিনিময় করেছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব ও কনজুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) এর সভাপতি এ. এইচ. এম, সফিকুজ্জামান।

শনিবার (১৮ অক্টোবর) বিকাল ৫টায় তিনি সিলেট সদর উপজেলার দলদলি চা-বাগানে এথনিক কমিউনিটি ডেভলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (একডো) পরিচালিত চা-শ্রমিক শিশুদের জন্য এডুকেশন সাপোর্ট সেন্টারের কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। এরপর তিনি নারী চা শ্রমিকদের নিয়ে গঠিত সংগঠন চা-শ্রমিক নারী মঞ্চে প্রতিনিধিদের সাথে মতবিনিময় করেন।

এথনিক কমিউনিটি ডেভলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের (একডো) নির্বাহী পরিচালক লক্ষ্মীকান্ত সিংহের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় নারী চা শ্রমিকরা তাদের দুঃখ দুর্দশার কথা তুলে ধরেন। তারা তাদের মজুরি বৃদ্ধি, চা শ্রমিকদের চিকিৎসার জন্য বাগানে হাসপাতাল, চা শ্রমিক সন্তানদের শিক্ষার জন্য চা বাগানের ভিতরে সরকারি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবী করেন।

এর আগে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এ. এইচ. এম, সফিকুজ্জামান চা-শ্রমিক শিশুদের জন্য পরিচালিত এডুকেশন সাপোর্ট সেন্টারের শিক্ষার্থীদের সাথে বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেন। তিনি শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন প্রশ্ন করেন উত্তর নেন। এবং বিভিন্ন বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চা করান।

একডোর সমন্বয়কারী নৌংপকলৈ সিনহার সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন ক্যাবের ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসেইন, ক্যাবের নির্বাহী পরিচালক আহমেদ একরামউরল্লাহ, দলদলি চা বাগান বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি এডভোকেট এ এইচ এম জাফর চৌধুরী, টুকেরবাজার ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য আবুল কাশেম চৌধুরী, চা শ্রমিক নারী মঞ্চের সভাপতি সুমি নায়েক, দলদলি চা বাগান পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি মিন্টু দাস।

মতবিনিময় সভা শেষে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এ. এইচ. এম, সফিকুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, দেশ অনেক এগিয়ে গেলেও চা শ্রমিকদের তেমন কোনো উন্নতি হয়নি। তবে একটি জায়গায় উন্নতি হয়েছে। সেটা হল আগে তারা নিজেদের অধিকারের কথা বলতে পারতেন না এখন তারা বলতে পারেন। এখন অন্তত তাদের দাবীর বিষয়গুলো তারা খোলামেলা বলতে পারছে। তাদের দাবীগুলো বাস্তবায়নে অনেক চ্যালেঞ্জও আছে।