- নভেম্বর ১, ২০২৫
- শীর্ষ খবর
- 3
নিউজ ডেস্কঃ সিলেট-ঢাকা ও সিলেট-কক্সবাজার রুটে নতুন ট্রেন চালু, বন্ধ স্টেশন পুনরায় চালু করা এবং আন্তনগর ট্রেনে অতিরিক্ত বগি সংযোজনসহ আট দফা দাবিতে মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় রেলপথ অবরোধ কর্মসূচি প্রত্যাহার করেছে আন্দোলনকারীরা। রেল কর্তৃপক্ষ দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিলে এ অবরোধ প্রত্যাহার করা হয়।
শনিবার (১ নভেম্বর) সকাল ১০টা থেকে শুরু হওয়া এ কর্মসূচি রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর আন্দোলনকারীরা অবরোধ তুলে নেন।
বৈঠকে রেল কর্মকর্তারা সিলেট রুটের সব আন্তনগর ট্রেনে দুটি করে অতিরিক্ত বগি সংযোজন এবং উন্নত ইঞ্জিন স্থাপনের প্রতিশ্রুতি দেন। এছাড়া ডিসেম্বর-জানুয়ারি মাসের মধ্যে সিলেট-আখাউড়া রেলপথের বন্ধ স্টেশনগুলো পুনরায় চালু করা ও ওই সেকশনে দুটি লোকাল ট্রেন চালুর আশ্বাস দেওয়া হয়।
রেল কর্মকর্তারা আরও জানান, আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে কুলাউড়া থেকে সিলেট পর্যন্ত আন্তনগর পারাবত এক্সপ্রেসে ৬০ আসনবিশিষ্ট একটি বগি স্থায়ীভাবে সংযোজন করা হবে। এর মধ্যে কুলাউড়া জংশন স্টেশনে ৪০টি এবং শ্রীমঙ্গল স্টেশনে ২০টি আসন বরাদ্দ থাকবে।
তারা জানান, সিলেট-আখাউড়া রেলপথ সংস্কারের জন্য ১ হাজার ৭৩৯ কোটি টাকার একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে, যার দরপত্র চলতি নভেম্বরেই আহ্বান করা হবে। পাশাপাশি ২০২৬ সালের জানুয়ারির মধ্যে সিলেট-ঢাকা ও সিলেট-কক্সবাজার রুটে দুটি নতুন ট্রেন চালু করা হবে।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রেলওয়ের ঢাকা বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা মহব্বত জান চৌধুরী, বিভাগীয় প্রকৌশলী (ঢাকা)-২ আহসান হাবিব, সাবেক সংসদ সদস্য নবাব আলী আব্বাস খান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মহিউদ্দিন, কুলাউড়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ওমর ফারুক, স্টেশনমাস্টার রোমান আহমেদ, ট্রাফিক ইন্সপেক্টর শাহাজান পাটোয়ারী, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মো. ফজলুল হক খান সাহেদ, উপজেলা বিএনপির সভাপতি জয়নাল আবেদীন বাচ্চু ও সাধারণ সম্পাদক বদরুজ্জামান সজল, উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমির মো. জাকির হোসেন, আট দফা দাবি বাস্তবায়ন আন্দোলনের মুখ্য সমন্বয়ক আতিকুর রহমান আখই, সমন্বয়ক আজিজুল ইসলাম, সমন্বয়ক মো. খালেদ পারভেজ বখশ প্রমুখ।
উল্লেখ্য, অবরোধ চলাকালে সিলেটের কুলাউড়া, শায়েস্তাগঞ্জ ও শ্রীমঙ্গলসহ বিভিন্ন স্টেশনে কয়েকটি আন্তনগর ট্রেন আটকা পড়ে। সকাল থেকেই কুলাউড়া স্টেশনে লাল পতাকা হাতে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও শ্রমিক সংগঠনের নেতা-কর্মীরা অবস্থান নেন। সিলেট, শ্রীমঙ্গল, শমশেরনগর ও ভানুগাছ স্টেশন এলাকাতেও সাধারণ মানুষ আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানান।
