• নভেম্বর ১৩, ২০২৫
  • রাজনীতি
  • 2
একদিনে গণভোট ও নির্বাচনের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের আহ্বান, জামায়াতসহ ৮ দলের

নিউজ ডেস্কঃ একই দিনে গণভোট ও নির্বাচনের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যের নিন্দা জানিয়েছে যুগপৎ আন্দোলনের শরিক আট দল। তারা এমন সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছে।

আজ (বৃহস্পতিবার) রাতে রাজধানীর মগবাজারে জামায়াতের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ৮ দলের নেতাদের বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে আট দলের পক্ষ থেকে জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, প্রধান উপদেষ্টা সনদ জারি করেছেন, আমি মনে করি এটা উনি সঠিক করেছেন। এটা আরও আগে, জমা দেওয়ার সাথে সাথে করলে আরও সময় ক্ষেপণ কম হতো। তারপরও সনদ জারির জন্য তাকে ধন্যবাদ জানাই।

তিনি যোগ করেন, সনদের কার্যকারিতার জন্য জাতীয় নির্বাচনের আগে যে গণভোট অপরিহার্য বলে তিনি আবার বিভ্রান্তি তৈরি করেছেন, এ কথা বলে যে ‘গণভোট আর জাতীয় নির্বাচন একসাথে হবে’। এর আমরা নিন্দা জানাচ্ছি এবং আমরা আহ্বান জানাই যে এটি উনি প্রত্যাহার করবেন।

তাহের বলেন, ‘আজকে প্রধান উপদেষ্টা দুটো ঠুনকো যুক্তি দিয়ে বলেছেন, একটা হচ্ছে কিছুটা সাশ্রয় হবে। সাশ্রয় হবে কিন্তু জাতির প্রয়োজনে রাষ্ট্রের প্রয়োজনে তো বাজেট খরচ হয়। হিসাবে যেটা খরচ হচ্ছে উপকারের তুলনায় এটা অত্যন্ত নগণ্য।’

‘আর জাতীয় নির্বাচনে যদি একসাথে গণভোট হয়। গণভোটে যেগুলো মানুষ হ্যাঁ করবে সেগুলো বাস্তবায়নের তো জটিলতা তৈরি হবে। কনসিভ করার আগে সন্তানের নাম রাখা এটা কখনোই বুদ্ধিমানের কাজ না।’

যদি পিআর পাস হয় তো তাহলে তো এটার ভিত্তিতেই জাতীয় নির্বাচন হবে। সেখানে এটা একটা পয়েন্ট থাকবে। আর যদি এটা পাস না হয় তাহলে এটা মাইনাস করে নির্বাচন। সে কারণে আমরা সবসময় বলেছিলাম যে গণভোটে আগে নির্ধারণ হয়ে যাওয়া দরকার কোনটা কোনটা জনগণ গ্রহণ করেছে কোনটা জনগণ গ্রহণ করে নাই।

তিনি বলেন, জনগণ যদি কিছুই গ্রহণ না করে তাহলে আগের মতো ইলেকশন হবে। আর জনগণ যদি কিছু কিছু গ্রহণ করে পুরাটা গ্রহণ করে তার ভিত্তিতে নির্বাচন। গণভোটটা জাতীয় নির্বাচনের আগে হতে হবে। স্পষ্ট হতে হবে যে, জনগণ কীসের ভিত্তিতে জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে।