• ডিসেম্বর ২২, ২০২৫
  • শীর্ষ খবর
  • 3
বনরক্ষীদের সঙ্গে গাছচোরদের গুলি বিনিময়, পিস্তল উদ্ধার

হবিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার কালেঙ্গা সংরক্ষিত বনাঞ্চলে গাছচোর ও বনরক্ষীদের মধ্যে গুলি বিনিময়ের ঘটনায় পাহাড়ি টিলা থেকে একটি দেশীয় পিস্তল ও একটি কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে।

র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)-৯-এর সিসিপি-৩ শায়েস্তাগঞ্জ ক্যাম্প সোমবার (২২ ডিসেম্বর) বিকেলে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

এর আগে গত ১১ ডিসেম্বর রাত আড়াইটা থেকে তিনটা পর্যন্ত কালেঙ্গা সংরক্ষিত বনাঞ্চলের নিশ্চিন্তপুর পাহাড়ে এ গুলি বিনিময় হয়। এসময় মোট ৩৪ রাউন্ড গুলি ছোড়া হয়।

এ ঘটনায় ১৪ ডিসেম্বর কালেঙ্গা রেঞ্জের বিট কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল আমিন বাদী হয়ে ১০ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ৪০-৫০ জনকে আসামি করে চুনারুঘাট থানায় মামলা করেন।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মামলার পর র‌্যাব ঘটনাটির ছায়া তদন্ত শুরু করে। এর ধারাবাহিকতায় সোমবার ভোরে বনাঞ্চলের বৈরাগী টিলায় অভিযান চালিয়ে পিস্তল ও কার্তুজ উদ্ধার করা হয়। ধারণা করা হচ্ছে, উদ্ধার করা অস্ত্র ও কার্তুজটি রেমা-কালেঙ্গা বনাঞ্চলে সংঘটিত গুলির ঘটনায় ব্যবহার করা হয়েছিল।
এগুলো চুনারুঘাট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, রাত আড়াইটার দিকে একদল গাছচোর নিশ্চিন্তপুর পাহাড়ে সেগুনগাছ কাটছিল। খবর পেয়ে বিট কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল-আমিনের নেতৃত্বে তিন বনরক্ষী সেখানে গেলে চোরের দল তাদের ধাওয়া করে। এসময় আত্মরক্ষার্থে বনরক্ষীরা গুলি ছোড়েন।
পাল্টা গুলি চালায় চোরের দলও।

কালেঙ্গা রেঞ্জ কর্মকর্তা আবদুল খালেক জানান, গুলি বিনিময়ের সময় বনরক্ষীরা ১৪ রাউন্ড এবং গাছচোরেরা ২০ রাউন্ড গুলি ছোড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে না পেরে বনরক্ষীরা পিছু হটেন। খবর পেয়ে বিজিবি ঘটনাস্থলে পৌঁছালে গাছচোরেরা পালিয়ে যায়।

ঘটনাস্থল থেকে ১২ টুকরা সেগুন, ৮ টুকরা আকাশমনিসহ বিভিন্ন প্রজাতির মোট ৫৭ টুকরা কাঠ জব্দ করা হয়েছে।

মামলায় নাম উল্লেখ করা আসামিরা হলেন- চুনারুঘাট উপজেলার নিশ্চিন্তপুর গ্রামের মানিক মিয়া, সুমন মিয়া, শফিক মিয়া, শাহিদ মিয়া, মিশন মিয়া, কাওসার আলম দুলাল, পারভেজ মিয়া, পীরপুর গ্রামের শাহিন মিয়া, মিস্টার মোল্লা এবং আমিরপুর গ্রামের সুমন মিয়া।