- ডিসেম্বর ২২, ২০২৫
- মৌলভীবাজার
- 4
শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধিঃ মৌলভীবাজারে একজন সাংবাদিকসহ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৫জন জুলাই যোদ্ধাকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে হত্যার হুমকির ঘটনায় থানায় জিডি হয়েছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী চরম উদ্বেগ উৎকণ্ঠায় রয়েছেন।
হুমকির শিকারদের মধ্যে রয়েছেন শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাবের কোষাধ্যক্ষ ও দৈনিক খোলা কাগজ পত্রিকার মৌলভীবাজার জেলা প্রতিনিধি মো. এহসানুল হক, ইসলামী ছাত্র ঐক্য পরিষদ শ্রীমঙ্গলের আহবায়ক মো. মুজাহিদুল ইসলাম, মৌলভীবাজার জেলা এনসিপির সাংগঠনিক সম্পাদক নিলয় রশিদ, ইসলামী ছাত্র ঐক্য পরিষদ শ্রীমঙ্গলের আহবায়ক নাঈম হাসান, এনসিপির জেলা কমিটির সদস্য হায়দার আলী ও নাঈম।
ঘটনার প্রেক্ষিতে রবিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে শ্রীমঙ্গল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন মো. মুজাহিদ ইসলাম।
জিডিতে উল্লেখ করা হয়, রবিবার (২১ ডিসেম্বর) বেলা ১টা ২৯ মিনিটে ‘নো ক্যাপশন’ নামের একটি ফেসবুক আইডির মেসেঞ্জার থেকে মো. মুজাহিদুল ইসলামের ফেসবুক আইডিতে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়। বার্তায় তাকে হত্যা ও লাশ গুম করার হুমকি দিয়ে অশালীন ও ভয়ংকর ভাষা ব্যবহার করা হয়। একই বার্তায় আরও কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে তাদেরও হত্যার হুমকি দেওয়া হয়।
জুলাই যোদ্ধা, মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমাকে এবং আমার সহযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে নিয়মিত ফেসবুক আইডি, মেসেঞ্জার ও কমেন্টে ভয়ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এতে আমাদের জীবনের নিরাপত্তা চরম ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। আমরা প্রশাসনের কাছে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানাই।’
সাংবাদিক এহসান বিন মুজাহির বলেন, ‘আমি দীর্ঘদিন ধরে অনিয়ম-দুর্নীতি ও অপরাধচক্রের বিরুদ্ধে পেশাদারিত্বের সঙ্গে সাংবাদ প্রকাশ করে আসছি। এর জেরেই ফ্যাসিবাদী ও অপরাধ চক্রের সদস্যরা আমাকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হুমকি দিচ্ছে। এর আগেও আমাকে সড়কে আক্রমণের চেষ্টা করা হয়েছে এবং মাদকবিরোধী প্রতিবেদনের কারণে আমার পরিবারের সদস্যদের ভয়ভীতি দেখানো হয়েছে। নতুন করে হত্যার হুমকিতে আমি ও আমার পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।’
মৌলভীবাজার সিনিয়র সাংবাদিক সাইফুল ইসলাম বলের, ‘প্রেসক্লাবের কোষাধ্যক্ষ সাংবাদিক এহসানকে ফেসবুকের একটি আইডি থেকে হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছে যা গণমাধ্যমের স্বাধীন সাংবাদিকতার হুমকি। হুমকিদাতাদের শনাক্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার দাবী জানাচ্ছি।’
শ্রীমঙ্গল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জহিরুল ইসলাম মুন্না বলেন, ‘একটি সাধারণ ডায়েরি গ্রহণ করা হয়েছে। আমরা এটা নিয়ে কাজ করছি। আদালতের অনুমতি নিয়ে প্রাপ্ত তথ্য ও স্ক্রিনশট যাচাই করে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।’
