- সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২২
- মতামত
- 463
মতামতঃ গণমাধ্যমে এখন হরেক জানালা। এরমধ্যে তরতাজা খবরকে ‘লাইভ’ বলা হয়। এই লাইভ যারা করছেন, তারা বিস্ময়ের সঙ্গে দেখছেন, বিএনপির মিছিল-সভাতে লোকসমাগম ক্রমে বাড়ছে। এসব কর্মসূচির ডিজিটাল সম্প্রচারে চোখের পলকে লাইক-ভিউ-শেয়ার হচ্ছে K থেকে M পর্যন্ত। দৃশ্যত বিএনপি চাঙা হচ্ছে।
অপরদিকে, আওয়ামী লীগ আছে উল্টো অবস্থায়। মুখ ফসকে কোনো কথা বের হলেই হতে হয় নাস্তানাবুদ! মাতম তৈরি হয় নিজদল থেকে।
বলতে গেলে দ্বি-চক্র যানের মতো আমাদের দুটো দলের রাজনীতি! তলে তলে কী হচ্ছে? হাওয়াবদল? এমন প্রশ্নও ছত্রাকের মতো ছড়াচ্ছে!
বিএনপির যুবশক্তির একটি সংগঠন যুবদল। সিলেটে জেলা ও নগরের সম্মেলন করে কাউন্সিলরদের ভোটে নতুন নেতৃত্ব এসেছে। কোনো গোলযোগ হয়নি, অভ্যন্তরে কোনো অনুযোগও শোনা যায়নি। যুবশক্তির এই শৃঙ্খলা বিএনপির নতুন আশা। এই আশার মধ্যে একরাশ দুরাশা যুবদলের ভোটে জয়ী জেলার নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক মকসুদ আহমদকে তুলে নেওয়া।
সিলেট জেলা বিএনপি একটি বিবৃতি দিয়েছে। এতে বলা হয়, ১৪ সেপ্টেম্বর ভোর রাতে একটি বাহিনীর নাম বলে বাসার স্টিলের দরজা ভেঙে মকসুদকে তুলে নেওয়া হয়। বিএনপির দাবি, মকসুদকে থানা অথবা আদালতে অবিলম্বে সোপর্দ করা হোক।
মকসুদ নেতা নির্বাচিত হওয়ায় তুলে নেওয়ার খাতায় নাম লিখিয়েছেন। এইসব তুলে নেওয়ার কলাকৌশলও পুরোনো। অভিযোগ যে বাহিনীর প্রতি, সেই সব বিএনপি-জোট শাসন আমলেই তৈরি। মনে পড়ে, ‘ফ্রাঙ্কেস্টাইনের কালোপাহাড়’ বলে ভৎর্সনা করেছিলেন প্রয়াত জাতীয় নেতা সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। ফ্রাঙ্কেস্টাইনের গল্পটি এখন কোন পর্যায়ে আছে? বিগত দশক-দেড়েকের ঘটনায় সহজে অনুমেয়!
সামনে জাতীয় নির্বাচন। রাজনীতির মাঠে কী এক প্রপঞ্চ তৈরি করছে কেউ অথবা কোনো চক্র। তাতে ক্ষতির নথি ভরাট হচ্ছে কেবল জবাবদিহিতার মঞ্চে থাকা রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের। প্রপঞ্চ তৈরি করছে কারা? কেন, কী চায় তারা? রাজনীতি না করলেও এই জানাটা জনগণের জন্য জরুরি।
লেখক: উজ্জল মেহেদি
জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক