- সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২২
- রাজনীতি
- 267
নিউজ ডেস্কঃ আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘গণমাধ্যমে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে কম গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। সে তুলনায় বিভিন্ন রাজনৈতিক ঘটনায় বিএনপিকে বেশি প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে।’
সোমবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ শাখা এবং সহযোগী সংগঠনগুলোর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের এক যৌথসভার আগে দেয়া বক্তব্যে তিনি এমন মন্তব্য করে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘গণমাধ্যমের উচিত বিরোধী দলের বিভিন্ন বক্তব্যের সঙ্গে ক্ষমতাসীন দলেরও বক্তব্য দেয়া। কারণ সরকারি দলেরও তো তাদের নিজেদের দিক দিয়ে একটা বক্তব্য থাকে।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘মিডিয়ায় বড় বড় কাভারেজ হয়। আমাদের বড় বড় নেতাদের নামটাও বলা হয় না। অথচ কোথাকার কোন সম্পাদক…, কোন মহানগর নেতারাও…! আশ্চর্য হয়ে যাই!
‘মূল্যবোধের এত অবক্ষয় আমাদের দেশে! কল্পনা করতেও ভয় লাগে। আমরা তো পাই না। তাদের সাত-আটজনকে দিয়ে তারপর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসে। তারপর আবার ৩০ সেকেন্ড দিয়েই শেষ। এটা ঠিক নয়।’
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘তারা একদিকে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করবে, বিষোদ্গার করবে; অপজিশন হিসেবে ক্লেইম করতে পারে। সেটা তাদের ভিউ। কিন্তু সরকারি দল হিসেবে আমাদেরও ভিউ আছে। আমাদেরটা আমাদেরকে দিন, তাদেরটা তাদেরকে দিন। কাউকে দেবেন না- এটা তো আমরা বলছি না।’
অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকা তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আপনি লক্ষ করবেন যে কী অবস্থা। এসব চ্যানেল শেখ হাসিনা দিয়েছেন। তারা আজকে কী আচরণটা করছে! অনেকেই…, আমি সবার কথা বলব না। তারপর বিভিন্ন মিডিয়া কীভাবে আজকে আচরণ করছে? আমার মনে হয় বিষয়টি নিয়ে তাদের সঙ্গে আমাদের আলাপ করা উচিত।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘শেখ হাসিনা তাহলে কি পদ্মা সেতু করে ভুল করেছেন? করোনাকালে বিনা মূল্যে ভ্যাকসিন দিয়েছেন, যেটা আমেরিকাও পারেনি। আমেরিকার রাষ্ট্রদূত পিটার হার্টস নিজেই তা স্বীকারও করেছেন। সেটা করে কি ভুল করেছেন?
‘শেখ হাসিনা বাংলাদেশের অর্থনীতিকে ভারসাম্যমূলক অবস্থায় রেখে কি ভুল করেছেন? মেট্রোরেল, মধুমতি সেতু, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, চট্টগ্রামে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্ণফুলী টানেল, শীতলক্ষ্যা সেতু- এগুলোর কাজ কিন্তু থেমে নেই। ডিসেম্বরের মধ্যে অনেকগুলো উদ্বোধন হয়ে যাবে।’
সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, ‘ফ্লাইওভারই হয়েছে ২২টির মতো। আন্ডারপাস ৩০টির ওপরে। রূপপুর পরমাণু কেন্দ্র, মাতারবাড়ী বিদ্যুৎকেন্দ্র, পায়রা সমুদ্রবন্দর- এগুলো করে কি শেখ হাসিনা ভুল করেছেন? উন্নয়নের কোনো মূল্য নেই?
‘উন্নয়নের মূল্য আছে। আমরা দেখাব। আগামী নির্বাচনে। মানুষ দুটি বিষয়কে গুরুত্ব দেবে। শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত সততা ও উন্নয়ন।’
আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, জাহাঙ্গীর কবির নানক, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, হাছান মাহমুদ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন নাহার চাপা, উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।