• অক্টোবর ১৪, ২০২২
  • রাজনীতি
  • 378
এক আসনে নিরাপত্তা নেই, ৩০০ আসনে কেমনে থাকবে: গয়েশ্বর

নিউজ ডেস্কঃ বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় মনে করেন, তাদের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবির যৌক্তিকতার প্রমাণ মিলেছে গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচনে। তিনি বলেছেন, নির্বাচন কমিশন একটি আসনেই ভোটারের নিরাপত্তা দিতে পারেনি, তারা ৩০০ আসনে কীভাবে নিরাপত্তা দেবে?

আগামী ২২ অক্টোবর খুলনায় বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশকে সামনে রেখে শুক্রবার বিকেলে খুলনা প্রেস ক্লাবে এক সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।

গয়েশ্বর বলেন, ‘গাইবান্ধার নির্বাচন প্রমাণ করেছে দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়। এ কারণে সরকারের বিদায় ঘটাতে হবে।

‘যারা গাইবান্ধার একটি আসনে ভোটারদের নিরাপত্তা দিতে পারেনি, তারা ৩০০ আসনে পারবে না। এমনকি আমাকে নির্বাচন কমিশনের প্রধান বানানো হলেও আমি নিজের ভোটটি দিতে পারব কি না সন্দেহ।’

গত বুধবার গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচনে ইভিএমে ভোটারের পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর গোপন কক্ষে তার হয়ে ভোট দিয়ে দেয়ার অভিযোগ এনে প্রথমে ৫১ কেন্দ্রে ভোট স্থগিত করে নির্বাচন কমিশন। এরপর নির্বাচনই বাতিল করে দেয়।

ভোট চলাকালে পরিবেশ নিয়ে সংশয় থাকলে কমিশনের নির্বাচন বাতিলের যে ক্ষমতা আছে, সেটি প্রথমবারের মতো প্রয়োগ করা হয়েছে। আর এই ঘটনায় কমিশনের সমালোচনা করছে আওয়ামী লীগ। তারা বলছে, সেখানে ভোট বাতিলের মতো এমন কোনো ঘটনাই ঘটেনি।

তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ অবশ্য এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে বৃহস্পতিবার বলেছেন, ‘‘ব্যক্তি হিসেবে বলছি, ইসির (নির্বাচন কমিশন) সিদ্ধান্তে এটা প্রমাণ হয়েছে এতে সরকারের ভূমিকা নাই। তাদের সিদ্ধান্তই সবার ওপরে। এর মাধ্যমে প্রমাণ হয়েছে যে, বিএনপি যে তত্ত্বাবধায়কের কথা বলে সেটার প্রয়োজন নেই।’

পুরোপুরি বিপরীত বক্তব্য দিয়ে গয়েশ্বর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি আদায়ে আন্দোলনের ওপর জোর দেন। তিনি বলেন, ‘এরা (আওয়ামী লীগ) স্বেচ্ছায় বিদায় নেবে না। আন্দোলনের মাধ্যমে পতন নিশ্চিত করতে হবে। সংসদ বিলুপ্ত করতে হবে। নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার গঠন করতে হবে। তারা নতুন নির্বাচন কমিশন ঘোষণা করবে। যারা পরবর্তী নির্বাচনের আয়োজন করবে।’

খুলনার কর্মসূচি বানচাল করতে সরকার নতুন নতুন কৌশল নেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যেখানেই বাধা আসবে সেখানেই দেশ বাঁচানো, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আর একটি যুদ্ধ শুরু করতে হবে। কোনো ফ্যাসিবাদ, লুটেরা, মুদ্রা পাচারকারী সরকার দেশে টিকবে না। তাদেরকে পাপের প্রায়শ্চিত্ত করতে হবে।’

বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান ও খুলনা বিভাগীয় গণ সমাবেশ বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক শামসুজ্জামান দুদু এই সভার সভাপতিত্ব করেন।