- নভেম্বর ৭, ২০২২
- শীর্ষ খবর
- 241
নিউজ ডেস্কঃ সিলেট নগরীর পাঠানটুলা এলাকার পল্লবী এলাকার নিজ ঘরের পৃথক কক্ষ থেকে স্বামী-স্ত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় মামলা অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত রোববার মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়। গতকাল সোমবার এ ঘটনায় অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করে পুলিশ। জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হুদা খান মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘রোববার ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করা হয়। আজ ময়নাতদন্ত হবে। পরে লাশ তাদের পরিবারে হস্তান্তর করা হবে। তবে ঠিক কি কারণে এই ঘটনা ঘটেছে, তা এখনও জানা যায়নি।’
জানা যায়, রোববার পাঠানটুলা এলাকার পল্লবী আ/এ সি ২৫ নম্বর বাসা থেকে এই দম্পতির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মরদেহ উদ্ধার হওয়া দম্পতি হলেন—রিপন দাস (৩০) ও শিপা তালুকদার (২৮)। গলায় গামছা পেঁচিয়ে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় তাদের মরদেহ উদ্ধার হয়। তাদের ১৮ মাসের একটি ছেলে সন্তানও রয়েছে। গৃহবধূর মরদেহ যেই কক্ষে ছিল সেখানে টেবিলের ওপর থেকে একটি চিরকুট উদ্ধার করা হয়েছে। তবে চিরকুটটি স্বামী–স্ত্রীর মধ্যে কার লেখা তা নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ। উদ্ধার হওয়া চিরকুটে লেখা ছিল—‘আমি আমার পাপের শাস্তি পাইছি। আমি আমার একটা মাত্র ছেলেকে রেখে গেলাম, তুমরা ওকে দেখ। সবাই আমাকে কমা করে দিয়।’
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, তাঁরা পল্লবী আবাসিক এলাকার ধীরেন্দ্র দের ওই বাসায় ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করছিলেন। রিপন একটি বিস্কুট কোম্পানিতে সেলসম্যান হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এই দম্পতি ওই বাসায় প্রায় সাত মাস ধরে বসবাস করছিলেন। রোববার সকাল ৯টার দিকে ওই ঘরের মধ্যে শিশুর কান্না শুনতে পান প্রতিবেশীরা। বাইরে থেকে তখন ডাকাডাকি করে রিপন ও শিপার কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। পরে ৯৯৯ নম্বরে কল দিয়ে বিষয়টি জানানো হয় জালালাবাদ থানা পুলিশকে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দরজা ভেঙে পৃথক কক্ষ থেকে স্বামী-স্ত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে।