- মার্চ ৬, ২০২৩
- লিড নিউস
- 167
নিউজ ডেস্কঃ সিলেট-জকিগঞ্জ সড়কে আবারও ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে সিলেট জেলা সড়ক পরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদ। ওই সড়কে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশনের (বিআরটিসি) চারটি বাস একটি করে ট্রিপ দেওয়ার দাবিতে আগামী বৃহস্পতিবার সকাল ছয়টা থেকে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট পালনের ডাক দিয়েছে।
এর আগে একই দাবিতে গত ৩০ জানুয়ারি থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতির ডাক দেওয়া হয়েছিল। পরে ২৯ জানুয়ারি জেলা প্রশাসন, বিআরটিসি কর্তৃপক্ষ এবং পরিবহন মালিক ও শ্রমিক ঐক্য পরিষদের নেতারা সভা করে সেটি স্থগিত করে।
এক মাস পার হতেই আবারও একই দাবিতে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে সিলেট জেলা সড়ক পরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদ। গতকাল রোববার রাতে সিলেট নগরের দক্ষিণ সুরমার কদমতলী এলাকার জেলা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কার্যালয়ে জেলা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি ও সিলেট জেলা বাস মিনিবাস কোচ মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের যৌথ সভায় ধর্মঘট পালনের সিদ্ধান্ত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন সিলেট জেলা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কালাম।
সভায় সিলেট-জকিগঞ্জ সড়কে বিআরটিসি কর্তৃপক্ষ হঠাৎ বিশৃঙ্খলভাবে বাস চালু করেছে বলে দাবি করা হয়। পরিবহন নেতাদের অভিযোগ, সড়কে প্রতিদিন চারটি বাস চলাচল করার কথা থাকলেও চারটির অধিক বাস চলাচল করছে। বাসগুলো একাধিক ট্রিপ দিচ্ছে।
সভায় বক্তারা বলেন, এর আগে প্রশাসনের আশ্বাসে কর্মসূচি স্থগিত করা হয়। কিন্তু পরিবহনমালিক ও শ্রমিকদের দাবি বাস্তবায়ন করা হয়নি। প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী আগামী বুধবারের মধ্যে দাবি বাস্তবায়ন করা না হলে বৃহস্পতিবার সকাল ছয়টা থেকে সিলেট-জকিগঞ্জ সড়কে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন শ্রমিক কর্মবিরতি পালন করবে। ধর্মঘট চলাকালে ওই সড়কের সব গণপরিবহন চলাচল বন্ধ থাকবে। এতেও সমাধান না হলে প্রথমে সিলেট জেলা এবং পরবর্তী সময় বিভাগীয় পর্যায়ে কঠোর কর্মসূচি পালন করা হবে।
এ বিষয়ে সিলেট বিআরটিসির ডিপো ব্যবস্থাপক সোহেল রানা বলেন, সড়কটিতে বিআরটিসির চারটি বাসই চলছে। সিলেট জেলা প্রশাসন এবং পরিবহনমালিক ও শ্রমিকদের সঙ্গে বৈঠকে এমনটিই সিদ্ধান্ত হয়েছিল। কিন্তু আবার ধর্মঘটের আহ্বানের বিষয়টি তাঁর জানা নেই।
সিলেট জেলা সড়ক পরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শাহ মো. জিয়াউল কবির বলেন, বিআরটিসি কর্তৃপক্ষ চারটি বাস চলাচলের কথা বলে ছয়টি বাস চালাচ্ছে। তবে তারা দাবি করে মাত্র চারটি বাস চালাচ্ছে। যে বাসগুলো ওই সড়কে চলাচল করে, সেগুলোর নম্বর চাইলে তারা দিতে অপরাগতা প্রকাশ করে।