• এপ্রিল ৫, ২০২৩
  • শীর্ষ খবর
  • 199
সিলেটে মেয়ের সাক্ষীতেই বাবার মৃত্যুদণ্ড

নিউজ ডেস্কঃ ফাইজার বয়স তখন পাঁচ বছর। চোখের সামনেই তার মাকে খুন করেন বাবা মনির আলী।

এ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে নয় বছর বয়সে এসে সেই মেয়ের সাক্ষীতেই মৃত্যুদণ্ড হলো মনির আলীর। এছাড়া তাকে আরও ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

বুধবার (৫ এপ্রিল) দুপুরে সিলেটের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ শাহাদৎ হোসেন প্রামাণিক এ রায় ঘোষণা করেন।

রায়ে দণ্ডপ্রাপ্ত মনির আলী দক্ষিণ সুরমার আদিত্যপুর গ্রামের মৃত ওয়াসিদ আলীর ছেলে। রায় ঘোষণার সময় আসামি কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।

আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট সরওয়ার আহমদ চৌধুরী আবদাল জানান, মামলায় ১২ সাক্ষীর ১১ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হলেও গুরুত্বপূর্ণ ছিল প্রত্যক্ষদর্শী মেয়ে ফাইজার সাক্ষী। পাঁচ বছর বয়সে ঘটনাটি দেখলেও ফাইজার সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে ৯ বছরে।

মামলার বরাত আদালত সূত্র জানায়, ২০১৭ সালের ৫ জুন যোহরের নামাজরত অবস্থায় স্ত্রী সাহানা আক্তারকে কুপিয়ে হত্যা করেন মনির। শ্বশুরবাড়িতে ঘরজামাই হিসেবে অবস্থান করে স্ত্রীকে হত্যার এ দৃশ্য তার ৫ বছর বয়সী কন্যা দেখে ফেলে। ২০২২ সালে ৯ বছর বয়সে আদালতে বাবার বিরুদ্ধে ওই শিশু সাক্ষ্যও দেয়। এর আগে ঘটনার পর পাঁচ বছর বয়সী ফাইজা পুলিশের কাছে খুনের বর্ণনা দেয়। ফাইজার বর্ণনার পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তীতে আদালতে দায় স্বীকার করে জবানবন্দিও দেন মনির।

অ্যাডভোকেট সরওয়ার আহমদ চৌধুরী আবদাল আরও বলেন, দক্ষিণ সুরমার লাউয়াই উমরকবুল গ্রামে স্ত্রী সাহানার বাবার বাড়িতে থাকতেন মনির আলী। ঘরজামাই হিসেবে বসবাস করার পরও যৌতুকের টাকার জন্য স্ত্রীকে প্রায়ই চাপ দিতেন। টাকার জন্যই তাকে নামাজরত অবস্থায় কুপিয়ে খুন করেন মনির।

খুনের দৃশ্য তাদের একমাত্র মেয়ে ফাইজা দেখে ফেলে। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সাহানার ভাই পারভেজ আলী বাদী হয়ে মামলা (৭(৬)’১৭) দায়ের করেন। তদন্ত কর্মকর্তা জগত জ্যোতি দাস ২০১৭ সালের ৩১ অক্টোবর একমাত্র মনিরকে অভিযুক্ত করে আদালতে এই মামলার অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেন। গতবছর মামলাটি আদালতে বিচারের জন্য দায়রা ৬৫৮/২২ মূলে রেকর্ড করা হয়।

গত বছরের ২৫ মে আদালতে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরু হয়। দীর্ঘ শুনানিতে মামলায় ১২ জনের মধ্যে ১১ জন আদালতে সাক্ষ্য দেন। এরমধ্যে তাদের কন্যাও আছে।