• জুন ৪, ২০২০
  • জাতীয়
  • 692
সুস্থ হওয়ার পর আবারও করোনায় আক্রান্ত চিকিৎসক

নিউজ ডেস্কঃ বরিশালের একজন চিকিৎসক দ্বিতীয়বারের মতো করোনা পজিটিভ হয়েছেন। বরিশালে এটা প্রথম ঘটনা। তাঁর নাম মো. শিহাবউদ্দিন। তিনি বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জুনিয়র কনসালট্যান্ট (সার্জারি)।

বরিশাল বিভাগে এটা প্রথম কোনো ঘটনা। বাবুগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ কর্মকর্তা সুবাস সরকার আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্র জানায়, শিহাবউদ্দিন গত এপ্রিল মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে হাসপাতালের জেনারেল ওয়ার্ডে দায়িত্ব পালন করছিলেন। এ সময় মারামারির ঘটনায় আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া এক রোগীর প্রথমে করোনা শনাক্ত হয়। এরপর একে একে এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একজন নার্স এবং একজন পিয়নের শরীরে কোভিড পজিটিভ আসে। এরপর পুরো হাসপাতাল লকডাউন ঘোষণা করে স্বাস্থ্য বিভাগ এবং স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সব চিকিৎসক, নার্স ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা হোম কোয়ারেন্টিনে চলে যান। গত ১৮ এপ্রিল শিহাবউদ্দিনসহ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরও বেশ কয়েকজনের নমুনা পরীক্ষা করা হলে তাঁর, তিনজন নার্স, একজন স্বাস্থ্যকর্মী, একজন পিয়ন ও কজন পরিচ্ছন্নতাকর্মীর করোনা পজিটিভ হয়।

২৩ এপ্রিল শিহাবউদ্দিন বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকলে কলেজ হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন। ১০ দিন পর প্রথম এবং এর ৭২ ঘণ্টা পর দ্বিতীয় ফলোআপ নমুনা পরীক্ষায় তাঁর করোনা নেগেটিভ আসে। ২৭ এপ্রিল সুস্থ হয়ে তিনি বাড়িতে ফেরেন। ২০ মে তিনি কাজে যোগ দেন।

শিহাবউদ্দিন বলেন, কর্মস্থলে যোগদানের পর গত ২৬ মে ঢাকায় করোনায় আক্রান্ত তাঁর এক নিকটজনকে প্লাজমা দিতে যান। ঢাকা থেকে কর্মস্থলে ফেরার পর তিনি পুনরায় শরীরে করোনার উপসর্গ অনুভব করলে গত ৩১ মে আবার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করান। ১ জুন পাওয়া প্রতিবেদনে পুনরায় কোভিড পজিটিভ আসে। তিনি এখন বাড়িতে হোম কোয়ারেন্টিনে আছেন।

বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক শ্যামল কৃষ্ণ মণ্ডল প্রথম আলোকে বলেন, কোভিডে আক্রান্ত ব্যক্তি সুস্থ হওয়ার পর দ্বিতীয়বার আক্রান্ত হবেন না, এমন কোনো নিশ্চয়তা নেই। কারণ, অনেক দেশে দ্বিতীয়বার আক্রান্তের বেশ কিছু নজির রয়েছে। অনেক সময় শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতার (ইমিউনিটি) ওপর এটা অনেকটা নির্ভর করে। ভাইরাস কতটা প্রাণঘাতী হবে, সেটা ব্যক্তির ইমিউনিটির ওপর নির্ভর করে। মানুষের শরীরে যদি প্রতিরোধক্ষমতা তৈরি হয়, সেটা কম–বেশি যাই হোক, তাহলে এই জীবাণু অতটা বিপজ্জনক হতে পারবে না।