- জুন ৪, ২০২০
- শীর্ষ খবর
- 534
হবিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ হবিগঞ্জে সরকারের নগদ আড়াই হাজার টাকা সহায়তার তালিকায় ভিন্ন ভিন্ন নামে একই মোবাইল নম্বর সর্বোচ্চ ২০০ বার ব্যবহার করে দুর্নীতির ফাঁদ পেতেছিলেন ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম মলাই। সেই অভিযোগে এবার তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে সরকার।
বৃহস্পতিবার (০৪ জুন) স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ ইউনিয়ন পরিষদ-১ শাখার উপ-সচিব মোহাম্মদ ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছেন।
গত ১৬ মে চেয়ারম্যানের এই প্রতারণার সংবাদ প্রকাশ হয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে। এরপর শুরু হয় তোলপাড়। স্থানীয়ভাবে তদন্ত শুরু করে কর্তৃপক্ষ। তদন্তের দায়িত্ব পান হবিগঞ্জ স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মো. নূরুল ইসলাম। অবশেষে এর প্রায় ২০ দিন পর অভিযুক্ত চেয়ারম্যানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সরকারি নিয়ম-নীতির ব্যত্যয় ঘটিয়ে প্রধানমন্ত্রী প্রদত্ত মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে নগদ অর্থ সহায়তা কর্মসূচির সুবিধাভোগীর তালিকা প্রণয়নে ইউপি চেয়ারম্যান মলাইয়ের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ স্থানীয় তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে। এ মর্মে সুপারিশ করেন জেলা প্রশাসক। অপরাধমূলক কার্যক্রমের পরিপ্রেক্ষিতে ওই চেয়ারম্যান দ্বারা ইউনিয়ন পরিষদের ক্ষমতা প্রয়োগ প্রশাসনিক দৃষ্টিকোন সমীচীন নয় মর্মে সরকার মনে করে।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, উল্লিখিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মুড়িয়াউক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম মলাইকে স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯ এর ৩৪(১) ধারা অনুযায়ী তার পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।
প্রজ্ঞাপনের অনুলিপি দেওয়া হয়েছে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের একান্ত সচিব, বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দপ্তরে।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রশাসনের কম্পিউটার অপারেটররা জানান, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যরা অসম্পন্ন খসড়া তালিকা দিয়েছেন। অল্প সময়ের মধ্যে আমরা তা সম্পন্ন করি। ভুলবশত একেকটি নম্বর অনেকবার ব্যবহার হয়েছে। এরমধ্যে একটি নম্বর সর্বোচ্চ ২০০ নামের বিপরীতে ব্যবহার হয়েছে বলেও জানান তিনি।