- আগস্ট ৫, ২০২৩
- লিড নিউস
- 219
নিউজ ডেস্কঃ হবিগঞ্জ শিল্পকলা একাডেমীর প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের নৃত্যকলা বিভাগে প্রশিক্ষকের বিরুদ্ধে নৃত্য না শিখানে ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ তুলেছেন উচ্চাঙ্গ নৃত্য বিভাগের শিক্ষার্থীদের অভিভাবকবৃন্দ।
গত ১৩ জুন হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জেলা কালচারাল অফিসার বরাবর জেলা শিল্পকলা একাডেমীর নৃত্যবিভাগের উচ্চাঙ্গ নৃত্যের প্রশিক্ষক প্রবীর শীলের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন অভিভাবক অ্যাডভোকেট শায়লা পারভীন। এক মাসেরও বেশি সময় অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত ঐ প্রশিক্ষকের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের কোন তদন্ত কার্যক্রম শুরু হয়নি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, হবিগঞ্জ জেলা শিল্পকলা একাডেমীর প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের নৃত্যকলা বিভাগে প্রশিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছেন প্রবীর শীল। তবে উচ্চাঙ্গ নৃত্য নিয়ে কোন প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা না থাকলেও তাকে ঐ পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি জেলা শিল্পকলা একাডেমী আয়োজিত বিভিন্ন নৃত্য প্রতিযোগীতার বিচারকার্যে স্বজনপ্রীতি ও অনিয়মের অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে দীর্ঘদিন ধরে গুটি কয়েক প্রতিযোগী তথা নৃত্যশিল্পীদের সুবিধা দিয়ে আসছিলেন বিভিন্ন সময়ে বিচারকার্যদের দায়িত্বে থাকা এই প্রশিক্ষক। গত ৯ জুন ২০২৩, একটি প্রতিযোগীতায় নৃত্য পরিবেশনের সময় এক প্রতিযোগীর অলংকার খুলে পড়ে গেলেও নিয়মবহির্ভূতভাবে তাকে বিজয়ী ঘোষণা করেন প্রবীর শীল।
অভিভাবক সাইফুদ্দিন জানান, আমার মেয়ে চার বছর সৃজনশীল ও উচ্চাঙ্গ নৃত্য বিভোগে প্রশিক্ষণ নিয়েছে এই প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে কিন্তু তাকে উচ্চাঙ্গ বিভাগে কোন নাচ বা নৃত্যের মূদ্রা শিখানো হয়নি, যার প্রশিক্ষক হিসাবে দায়িত্বে ছিলেন প্রবীর শীল।
এ ব্যাপারে প্রশিক্ষক প্রবীর শীলের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ‘আমি কোথা থেকে নৃত্য শিখেছি এটা কি আমি লিফলেট লাগিয়ে চলবো নাকি ? আমি বিভিন্ন গুরুর কাছে ও প্রতিষ্ঠানের কাছে নৃত্য শিখেছি’। বার বার প্রতিষ্ঠানের নাম জানতে চাইলে কোন সঠিক উত্তর দিতে পারেননি, কথার একপর্যায়ে উনি বলেন, নৃত্যশৈলী থেকে উচ্চাঙ্গ নৃত্যের প্রশিক্ষণ নিয়েছেন তিনি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সিলেটের একটি নৃত্য সংগঠনের নাম নৃত্যশৈলী। নৃত্যশৈলীর প্রশিক্ষক ও অফিস ইনচার্জ এর সাথে কথা বলে জানা যায় প্রবীর শীল নামের কেউ সেখানে প্রশিক্ষন নেননি এমন কি তাকে প্রতিষ্ঠানের অফিসে আসতেও কেও দেখেননি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হবিগঞ্জ জেলা শিল্পকলা একাডেমীর অন্তত ৩ জন শিক্ষার্থী ও অভিভাবক জানান, প্রবীর শীল তাদের উচ্চাঙ্গ ও শাস্ত্রীয় নৃত্যের মূদ্রা একদম শিখায়নি যা শিখিয়েছেন ভুলভাবে শিখিয়েছেন যার জন্য সিলেটে ও ঢাকায় অনুষ্ঠিত বিভাগীয় ও জাতীয় পর্যায়ে নৃত্য পরিবেশনে লজ্জা পেতে হয়েছে তাদের।
অভিযোগের বিষয়ে জেলা কালচারাল অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) নাভিদ সারওয়ারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।