- আগস্ট ১২, ২০২৩
- মৌলভীবাজার
- 257
মৌলভীবাজার প্রতিনিধিঃ মৌলভীবাজারের জেলার কুলাউড়ায় জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে এক বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ৩ কেজি বিস্ফোরক ও ৫০টির মতো ডেটোনেটর উদ্ধার করা হয়েছে।
অভিযান শেষে শনিবার (১২ আগস্ট) ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট প্রধান মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান ঘটনাস্থলে এ কথাগুলো বলেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা জঙ্গি আস্তানায় ব্যাপক তল্লাশি চালিয়ে প্রায় ৩ কেজি বিস্ফোরক ও ৫০টির মতো ডেটোনেটর উদ্ধার করা হয়েছে। যা দিয়ে গ্রেনেডসহ হাই এক্সপ্লোসিভ তৈরি করা হয়। ’
গ্রেপ্তারের বিষয়ে পুলিশের এ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, জঙ্গি আস্তান থেকে নারী-পুরুষ মিলিয়ে ১০ জনকে আটক করা হয়েছে। এদের মধ্যে ৪ জন পুরুষ ও ৬ জন নারী। এছাড়া ৩ শিশুও ছিল।
জঙ্গি আস্তানা থেকে জঙ্গিদের পাশাপাশি আরও বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ আলামত উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
শুক্রবার রাতে কুলাউড়া উপজেলার ওই আস্তানাকে ঘিরে রাখে টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের একটি চৌকস দল।
শনিবার সকাল ১০টা পর্যন্ত চলে এ অভিযান। এতে সিটিটিসি ইউনিটকে সহযোগিতা করে মৌলভীবাজার জেলা পুলিশ ও কুলাউড়া থানা পুলিশ।
এ বিষয়ে অভিযান দলটির প্রধান মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের কাছে তথ্য ছিল নতুন একটি উগ্রবাদী সংগঠন ব্যাপক সংখ্যক লোকদের উগ্রবাদের দীক্ষা দিচ্ছে। সেসব লোকজন হিজরতের জন্য ঘর থেকে বের হয়েছেন। শুরুতে আমাদের কাছে তথ্য ছিল মৌলভীবাজারের যেকোনো একটি পাহাড়ে তারা তাদের আস্তানাটি গেড়েছেন। গতকাল আমরা চূড়ান্ত তথ্য পাই। ’
আটক ১০ জনের বাড়ি দেশের বিভিন্ন এলাকায় বলে জানান তিনি।
সিটিটিসি প্রধান বলেন, ঢাকায় আমরা একজনকে গ্রেপ্তার করেছি। যিনি এই জঙ্গি আস্তানা থেকে তার পরিবারকে আনার জন্য গিয়েছিলেন। আস্তানায় ১০জনকে বিনা বলপ্রয়োগে আমরা গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হই। তাদের কাছে থেকে ৩ লাখ ৬১ হাজার টাকা, প্রশিক্ষণ সামগ্রী; কমব্যাট বুট, বক্সিং ব্যাগ এবং কয়েক বস্তা জিহাদি বই জব্দ করা হয়েছে। এটি নতুন একটি সংগঠন, এর নাম ‘ইমাম মাহমুদের কাফেলা’।
তিনি বলেন, দেশে যেসব নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আছে, সেগুলোর বাইরে এটি একটি নতুন সংগঠন। এই সংগঠনের যে মূল ব্যক্তি তার নামও আমরা পেয়েছি। আশা করি, তার পর্যন্ত পৌঁছাতে আমরা সক্ষম হব।