• সেপ্টেম্বর ২০, ২০২৩
  • শীর্ষ খবর
  • 179
বিয়ানীবাজারে সরকারি রাস্থায় চলাচলে বাঁধা ও মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ

বিয়ানীবাজার সংবাদদাতাঃ বিয়ানীবাজারে প্রভাবশালী কর্তৃক সরকারি রাস্থায় চলাচলে গ্রামবাসীকে বাধা, রাস্থার জায়গা নিজের দাবী করে ওই ব্যক্তি বাঁশের বেঁড়া দিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছেন। রাস্থার উপর গর্ত খুঁড়ে যান চলাচলেও বিঘ্ন সৃষ্টি করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে প্রতিবাদ করলে গ্রামের লোকজনকে মামলা দিয়ে হয়রানী করছেন ওই প্রভাবশালী ব্যক্তি। এসব অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন লাউঝারি গ্রামবাসী।

বিয়ানীবাজার প্রেসক্লাবে মঙ্গলবার বিকেলে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে উপজেলার কুড়ারবাজার ইউনিয়নের পূর্ব লাউঝারি গ্রামবাসীর পক্ষে লিখিত বক্তব্যে ছয়ফুল ইসলাম জানান, জেলা প্রশাসকের খতিয়ানভূক্ত জমি বহু বছর থেকে রাস্থা হিসেবে ব্যবহার করছেন গ্রামের লোকজন। সম্প্রতি একই গ্রামের মৃত ইশাদ আলীর ছেলে আব্দুল কুদ্দুছ ওই রাস্থার জমি তার নিজের দাবী করে সেখানে বাশের বেঁড়া দিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছেন। তিনি এ পর্যন্ত মোট চারবার ওই রাস্থায় বেঁড়া দিয়েছেন। এমন প্রেক্ষাপটে গ্রামের লোকজন ঐক্যবদ্ধ হয়ে চলাচল স্বাভাবিক রাখতে বেড়া তুলে ফেলেন। এতে ক্ষুব্দ হয়ে গ্রামের নিরীহ লোকজনদের আসামী করে একের পর এক মামলা দায়ের করছেন তিনি । তার দায়ের করা মামলায় গ্রামের আজির উদ্দিন মাদাই নামের এক ব্যক্তি কারাগারে আটক আছেন। বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনসহ কুড়ার বাজার ইউপি চেয়ারম্যান ও সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের সদস্য অবগত আছেন।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত গ্রামের লোকজন জানান, আব্দুল কুদ্দুছ স্থানীয় জামে মসজিদের ইমামের একটি বিষয়কে কেন্দ্র করে গ্রামবাসীর সাথে এমন আচরণ করছেন। তিনি স্থানীয় মসজিদে তার অনুদান দেয়া বৈদ্যুতিক পাখাও খুলে নিয়ে গেছেন। বিয়ানীবাজার থানা পুলিশ বিগত দিনে তদন্ত করে গ্রামের রাস্থায় তার জমিজমার কোন অংশ নেই বলে আদালতে প্রতিবেদন দিয়েছে। কারণ কুশিয়ারার নদীর ভাঙ্গনের কবলে পড়ে তার দাবীকৃত কথিত জমিজমা হারিয়ে গেছে। বর্তমানে ওই রাস্থাটি জেলা প্রশাসকের মালিকানাধীন ১নং খতিয়ানের অন্তর্ভূক্ত।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পূর্ব লাউঝারি গ্রামের ছয়ফুল আলম, সিরাজ উদ্দিন, মঞ্জুর আলম, দেলোওয়ার হোসেন, মুজিবুর রহমান, আব্দুল মতিন, আবুল হাসান, মিয়া ধন, মিনহাজ উদ্দিন, রাজু আহমদ, শিপন আহমদ প্রমুখ।