• সেপ্টেম্বর ২১, ২০২৩
  • লিড নিউস
  • 272
সিলেটে ‘ফিলিং স্টেশনে’ আগুনে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫

নিউজ ডেস্কঃ সিলেটে ‘ফিলিং স্টেশনে’ বিস্ফোরণে দগ্ধদের মধ্যে আরেকজন মারা গেছেন। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫ জনে দাঁড়াল।
এবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেলেন নজরুল ইসলাম মুহিন (২৫)।

বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) দিনগত রাত দেড়টার দিকে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

নিহত যুবক মহানগরের পশ্চিম পীরমহল্লা ঐক্যতানের ২১৫/৩ মৃত মুজিবুর রহমানের ছেলে। তিনি বিরতি সিএনজি ফিলিং স্টেশনের শিফট ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন নিহতের স্বজন অ্যাডভোকেট আব্দুল মুকিত অপি।

এর আগে ১৮ সেপ্টেম্বর একই হাসপাতালে দগ্ধ আরও দুইজন মারা যান। তারা হলেন, সিলেট সদর উপজেলার জাঙ্গাঈল গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের ছেলে তারেক আহমদ (৩২) ও সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার কাদিরগাওয়ের অর্জুন দাসের ছেলে বাদল দাস (৪০)।

এরও আগে ১১ সেপ্টেম্বর রাতে সিলেট বিমানবন্দর থানার কোরবানটিলা এলাকার বাসিন্দা রুমেল সিদ্দিক এবং পরদিন ১২ সেপ্টেম্বর বিকেলে টুকেরবাজার এলাকার ইমন আহমদ (৩২) একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ৭টা ২০ মিনিটের দিকে নগরের পূর্ব মিরাবাজার ‘বিরতি সিএনজি ফিলিং স্টেশনের’ জেনারেটর কক্ষে বিস্ফোরণের ঘটে। এতে ৯ জন দগ্ধ হন। দগ্ধদের মধ্যে ম্যানেজারসহ সাতজন সিএনজি ফিলিং স্টেশনে কাজ করতেন এবং দুই জন পথচারীও রয়েছেন। তাৎক্ষণিক আহতদের উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরদিন ৬ সেপ্টেম্বর দগ্ধ সবাইকে ঢাকায় শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়।

অগ্নিদগ্ধদের মধ্যে এখনো চিকিৎসাধীন রয়েছেন- শাহপরান এলাকার বাসিন্দা ও পাম্প কর্মচারী মিনহাজ আহমদ (২৮), সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার শ্রীপুরের জাবেদ আহমদের ছেলে রিপন আহমদ (২৪), একই গ্রামের লুৎফুর রহমান (৩০), জালালাবাদ নিকুঞ্জ আবাসিক এলাকার আরশ আলীর ছেলে রুমান (২৩)।

ঘটনার পর ফিলিং স্টেশনের মালিক আফতাব আহমদ লিটন দাবি করেন, সন্ধ্যার পর কার্যক্রম শেষ করে সবাই পাম্প বন্ধ করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এ সময় স্টেশনের জেনারেটর কক্ষের একটি সেফটি বাল্ব বিস্ফোরিত হয়। এতে দগ্ধ নয়জনের মধ্যে পাঁচজনই মারা গেছেন। সর্বশেষ গতরাতে মারা যান শিফট ম্যানেজার মুহিন।