- সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২৩
- শীর্ষ খবর
- 250
হবিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ হবিগঞ্জে মাথার ওপর বিপজ্জনকভাবে টানানো তারের জটে আগুন লেগে প্রায় ১০ হাজার বেসরকারি ইন্টারনেট ও ডিশ সংযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।
শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বরে)দিবাগত ভোর রাতে জেলা শহরের টাউন হল রোডে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলে সংযোগগুলো বন্ধ হয়। সন্ধ্যা ৬টায় এ রিপোর্ট লেখার সময় পর্যন্ত সেগুলো চালু করা সম্ভব হয়নি।
তারের জটে অগ্নিকাণ্ডের ফলে বন্ধ হওয়া এসব সংযোগ শহরের শায়েস্তানগর, রাজনগর, কোরেশনগর, ইনাতাবাদ ও কলেজ কোয়ার্টার এলাকার।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুক্রবার ভোর ৫টায় হঠাৎ তারের জটে আগুন দেখতে পান এলাকাবাসী। পরে দমকল বাহিনীর একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণ করে।
তবে আগুনে তারগুলো পুড়ে যাওয়ায় বিদ্যুতের দুইটি ট্রান্সফরমার এবং বেসরকারি ইন্টারনেট সেবা ও ডিশ সংযোগ বন্ধ হয়ে যায়। পরে দুপুরের মধ্যে সব এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হলেও সন্ধ্যা পর্যন্ত ডিশ এবং ইন্টারনেট সেবা চালু হয়নি।
বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) হবিগঞ্জের উপসহকারী প্রকৌশলী চাঁদনী আক্তার বলেন, ভোর ৫টার দিকে আগুনের খবর পেয়ে দুইটি ট্রান্সফরমার ও ৩৩ কেভি লাইন বন্ধ করা হয়। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেগুলো চালু করা হয়েছে। কীভাবে আগুন লেগেছে তা জানা যায়নি।
এদিকে সন্ধ্যায় ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গেছে, বেসরকারি কয়েকটি ইন্টারনেট ও ডিশ সেবা দানকারী প্রতিষ্ঠান মেরামত কাজ করছে। শতশত তারের মধ্য থেকে নিজেদের তার বের করার পর কাজ করতে বেগ পোহাচ্ছিলেন তারা।
সেখানে থাকা ব্র্যাক নেট লিমিটেডের সাইফুল ইসলাম জানান, তার পুড়ে গিয়ে ১০-১২টি কোম্পানির অন্তত ৭ হাজার লাইন বন্ধ আছে। মেরামত কাজ শেষ হলে সেগুলো চালু হবে।
ডিশ সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান ‘এয়ারলিং ক্যাবল টিভির’ অপারেশন ম্যানেজার আহাদুজ্জামান আহাদ জানান, অগ্নিকাণ্ডের পর থেকে তাদেরও প্রায় ৭০০ সংযোগ বন্ধ আছে। দ্রুত সেগুলো চালু করার উদ্দেশে লাইন মেরামত করা হচ্ছে।
ঘটনাস্থলে থাকা একজন পুলিশ সদস্য জানান, ধারণা করা হচ্ছে পৌরসভার রাখা ময়লার ডাস্টবিনে কেউ আগুন দিয়েছেন। সেটি থেকেই আগুন তারের জটে ছড়িয়ে পড়েছে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশনস কোম্পানি লিমিটেডের (বিটিসিএল) এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, টাউন হল রোডে হবিগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে মাথার উপরে তারের জটগুলো অনেক পুরোনো। এগুলোর কোনোটা কেবল অপারেটরের তার, কোনোটা ডিশ লাইনের এবং আবার কোনোটা বৈদ্যুতিক তার। দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেতে এসব সংযোগ মাটির নিচে দেওয়া নেওয়া জরুরি।