- সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২৩
- রাজনীতি
- 307
নিউজ ডেস্কঃ বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি ও নিষেধাজ্ঞা কার্যক্রম ‘অপমানজনক ও লজ্জাজনক’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, ‘এজন্য বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর কোনো দায় নেই, সরকারই এককভাবে দায়ী।’
শনিবার দেশের একটি গণমাধ্যমকে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘স্বাধীনতার ৫২ বছর পর এসে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রশ্নে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা বিধিনিষেধ এসেছে। এটি আমাদের দেশের জন্য প্রাপ্য নয়। এজন্য বিএনপিসহ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর কোনো দায় নেই, এককভাবে সরকারই দায়ী।’
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার এখন বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছে। সরকার নির্বাচন-ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে। মানুষের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছে এবং মানবাধিকার লঙ্ঘন করে চলেছে। বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের নির্যাতন, গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। এসব কারণে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশ থেকে নানা রকম পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে।
‘এ নিয়ে বিএনপি চিন্তিত নয়। কারণ, সরকারের কারণেই এ ধরনের পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। ফলে ক্ষমতাসীনদের জন্যই এটি চিন্তার বিষয়।’
যুক্তরাষ্ট্রের পদক্ষেপকে বিএনপি ইতিবাচক হিসেবে দেখছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বিশ্বে গণতন্ত্রের পক্ষে বাইডেন প্রশাসনের অবস্থানের অংশ হিসেবে তারা এ পদক্ষেপ নিয়েছে। তারা তাদের দায়িত্ব পালন করেছে।’
শুক্রবার সন্ধ্যায় পররাষ্ট্র দপ্তরের এক ঘোষণার মাধ্যমে বাংলাদেশে নতুন ভিসানীতির প্রয়োগ শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
ঘোষণায় বলা হয়, ‘যেসব ব্যক্তি বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচনি প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করছে তাদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র ভিসা নিষেধাজ্ঞা জারি করছে। নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, ক্ষমতাসীন দল এবং রাজনৈতিক বিরোধী পক্ষ।’
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের ওই ঘোষণায় আরও বলা হয়, ‘যুক্তরাষ্ট্র অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সমর্থন করতে বদ্ধপরিকর। নির্বাচন অবশ্যই শান্তিপূর্ণ প্রক্রিয়ায় অনুষ্ঠিত হতে হবে।
‘যাদের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে, তাদের পরিবারের সদস্যরাও এই নিষেধাজ্ঞার আওতাভুক্ত। তার বাইরেও কেউ যদি নির্বাচনি প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করে তবে তাকেও ভিসা দেয়া হবে না।’
যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে যাদের বিরুদ্ধে ভিসানীতির প্রয়োগ করা হয়েছে, তাদের ব্যক্তিগতভাবে জানিয়ে দেয়া হয়েছে।