- অক্টোবর ৫, ২০২৩
- মৌলভীবাজার
- 329
মৌলভীবাজার প্রতিনিধিঃ মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের লালারচক সীমান্ত এলাকায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে ফেরদৌস (১৪) নামের এক কিশোর নিহত হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গুলিবিদ্ধ হওয়ার দুই দিন পর গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে সিলেটের এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়।
শরীফপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। মারা যাওয়া ফেরদৌস লালারচক এলাকার মৃত মাহমুদ আলীর ছেলে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত লাশ ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে ছিল বলে জানা গেছে।
সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপপরিচাল সৌমিত্র চক্রবর্তী বলেন, গত মঙ্গলবার রাতে গুলিবিদ্ধ ১৪ বছরের ওই কিশোর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। আজ লাশের ময়নাতদন্ত কার্যক্রম চলছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ১ অক্টোবর বিকেলের দিকে লালারচক সীমান্তের ১৮৫৭ ও ১৮৫৮ নম্বর মূল সীমান্ত পিলারের মধ্যবর্তী স্থানে ফেরদৌসকে দেখে বিএসএফ গুলি চালায়। পরে স্বজনেরা গিয়ে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে অস্ত্রোপচার করে তার শরীর থেকে গুলি বের করা হয়। তবে মঙ্গলবার রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই কিশোর মারা যায়।
লালারচক সীমান্ত বিজিবির ৪৬ ব্যাটালিয়নের লালারচক ক্যাম্পের আওতায় পড়েছে। এ বিষয়ে জানতে গতকাল বুধবার ও আজ কয়েক দফা লালারচক বিজিবি ক্যাম্পের সরকারি মুঠোফোন নম্বরে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও কেউ ফোন ধরেননি। শ্রীমঙ্গলে অবস্থিত বিজিবির ৪৬ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মিজানুর রহমান শিকদার মুঠোফোনে বলেন, তাঁরা লোকমুখে ঘটনাটি শুনেছেন। এ ব্যাপারে নিহত কিশোরের পরিবারের পক্ষ থেকে অথবা স্থানীয় কোনো জনপ্রতিনিধি তাঁদের কিছু জানাননি। জানালে ঘটনাটি খতিয়ে দেখা যেত।
শরীফপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান আজ সকালে মুঠোফোনে বলেন, ফেরদৌস মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিল। মাদক পাচারের উদ্দেশ্যে সে সহযোগীদের সঙ্গে সীমান্ত এলাকায় গিয়েছিল। পরে গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে মারা যায়। লাশ এখনো সিলেটে হাসপাতালের মর্গে রয়েছে বলে স্বজনেরা জানিয়েছেন। ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, বিষয়টি জানাতে বিজিবির লালারচক ক্যাম্পে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেন, কিন্তু তাঁর ফোন কেউ ধরেননি।
ওসমানী হাসপাতালে সিলেট জেলা পুলিশের ক্যাম্পের দায়িত্বে থাকা সদস্য জনি চৌধুরী বলেন, একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে গতকাল ওই কিশোরের লাশের সুরতহাল সম্পন্ন হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য আজ মর্গে নেওয়া হয়েছে।