- জুন ৯, ২০২০
- শীর্ষ খবর
- 633
নিউজ ডেস্কঃ সিলেটে সকল মার্কেটের দোকান ব্যবসায়ীদের এপ্রিল ও মে মাসের ভাড়া অর্ধেক মওকুফের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিলেটের বিভিন্ন শপিং ও কমার্শিয়াল কমপ্লেক্সের স্বত্বাধিকারীদের সংগঠন সিলেট শপিং ও কমার্শিয়াল কমপ্লেক্স ওনার্স গ্রুপ। ফলে দুই মাসের অর্ধেক মিলিয়ে মূলত একমাসের ভাড়া মওফুক করা হলো।
গত বৃহস্পতিবার দুপুরে গ্রুপের কার্যকরী কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বর্তমান করোনা মহামারির কারণে সিলেট তথা সারা দেশের সকল মার্কেটসহ ও সকল প্রকার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গত এপ্রিল ও মে ২০২০ দুই মাস সম্পূর্ণ বন্ধ থাকায় মার্কেট মালিকপক্ষ ও ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ব্যবসায়ীদেরকে মানবিক সহযোগিতা প্রদানের লক্ষ্যে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
সিলেট শপিং ও কমার্শিয়াল কমপ্লেক্স ওনার্স গ্রুপের অস্থায়ী কার্যালয় সিলেট সিটি সেন্টারের (৭ম) তলায় গ্রুপের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মোস্তফা শাহরিয়ার চৌধুরীর (স্বত্বাধিকারী শুকরিয়া মার্কেট) সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত গ্রুপের কার্যকরি কমিটির এক জরুরী সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক শহিদ আহমদ চৌধুরী সাজু’র (ব্যবস্থাপনা পরিচালক, সিলেট সিটি সেন্টার) পরিচালনায় সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সহ সভাপতি জি এম চৌধুরী (স্বত্বাধিকারী লতিফ সেন্টার), সহ সভাপতি আব্দুল হাই (ডিএমডি আল হামরা শপিং সিটি), সহসভাপতি মো. আব্দুল্লাহ আহমদ (স্বত্বাধিকারী কানিজ প্লাজা), সহসভাপতি জাকারিয়া ইফতেখার শামীম (চেয়ারম্যান, সুরমা টাওয়ার), সহসভাপতি খলিলুর রহমান মাসুম (স্বত্বাধিকারী সিম্পনী হাইটস), কোষাধ্যক্ষ নেছার রহিম নাদিম ((স্বত্বাধিকারী করিমা ম্যানশন), যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সাকির আহমদ (পরিচালক ব্লু ওয়াটার), সাংগঠনিক সম্পাদক মতিউর রহমান (স্বত্বাধিকারী শাহিব কমপ্লেক্স) প্রমুখ।
সিলেট শপিং ও কমার্শিয়াল কমপ্লেক্স ওনার্স গ্রুপের নেতৃবৃন্দ সিলেটের সকল মার্কেট মালিক ও দোকান মালিকগনকে বর্তমান দুর্যোগের কথা চিন্তা করে ও মানবিক দিক বিবেচনায় তাদের স্ব স্ব প্রতিষ্ঠান এর বন্ধ দোকানসমূহের দুই মাসের নির্দিষ্ট ভাড়ার ৫০% মওকুফ করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানান।
সভায় সিলেট শপিং ও কমার্শিয়াল কমপ্লেক্স ওনার্স গ্রুপের নেতৃবৃন্দ বর্তমান দুর্যোগ ও লকডাউনে ক্ষতিগ্রস্থ মার্কেট মালিক ও দোকান মালিকদের ক্ষতির দিক বিবেচনা করে, ২০২০ সালের হোল্ডিং ট্যাক্স মওকুফ করার জন্য সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এর কাছে আহবান জানান। এছাড়া চলতি অর্থবছরের ভ্যাট ট্যাক্স মওকুফসহ বন্ধকালীন সময়ের বিদ্যুৎ বিল সমূহের উপর ধার্য্যকৃত সুদ মওকুফ করে কিস্তির মাধ্যমে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধের সুযোগ করে দেয়ার জন্য সরকারসহ সংশ্লিষ্ট সকল কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।