- নভেম্বর ৮, ২০২৩
- লিড নিউস
- 173
নিজস্ব প্রতিবেদক: সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবি আদায়ে বিএনপির তৃতীয় দফায় সারাদেশে ৪৮ ঘণ্টার সর্বাত্মক অবরোধ শুরু হয়েছে। তৃতীয় দফার অবরোধের প্রথমদিন বুধবার (৮ নভেম্বর) সিলেট নগরীতে যান চলাচল অনেকটাই স্বাভাবিক লক্ষ্য করা গেছে। তবে দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ থাকায় অনেকটা খালি ছিল ঢাকা সিলেট মহাসড়ক। এই সড়কে চলাচলকৃত মানুষজন ও সিএনজি অটো রিকশার চালকদের মধ্যেও বেশ আতঙ্ক ছিল। বিগত দুই দফা অবরোধে মহাসড়কে গাড়ি ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ ও বিএনপির নেতাকর্মীদের পিকেটিং বেশ প্রভাব পড়েছে মহাসড়কে।
তবে নগরীতে অফিস সময়সূচির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে যানবাহন চলাচলের চাপ। দুরপাল্লার বাস না চলায় অনেকেই রেলওয়ে স্টেশনে ভিড় জমাচ্ছেন। যে কারণে সিলেট রেলওয়ে স্টেশনে প্রচুর মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।
অন্যদিকে, সিলেট কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে দূরপাল্লার কোনো বাস ছাড়েনি। তবে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, পণ্যবাহী যানবাহন ও ব্যক্তিগত গাড়ি চলাচল করছে।
বিএনপি-জামায়াতের এ অবরোধ কর্মসূচি ঘিরে নাশকতা ঠেকাতে মাঠে রয়েছে পুলিশ, বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) ও র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-৯।
এছাড়া সিলেট-ঢাকা মহাসড়কসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় অবস্থান নিয়েছে পুলিশ। নিয়মিত টহল দিচ্ছে র্যাব-৯।
এর আগে গত সোমবার দ্বিতীয় দফায় ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচির শেষ দিন বুধবার থেকে ৪৮ ঘণ্টা সড়ক, নৌ ও রেলপথে অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করে বিএনপি, যা বুধবার ভোর ৬টা থেকে শুক্রবার ভোর ৬টা পর্যন্ত টানা ৪৮ ঘণ্টা চলবে।
গত ২৮ অক্টোবর ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশে হামলা, নেতাকর্মীদের হত্যা, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ আন্দোলনরত বিভিন্ন দলের সহস্রাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার, বাড়ি বাড়ি তল্লাশি-হয়রানি ও নির্যাতনের প্রতিবাদে গত ২৯ অক্টোবর সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল কর্মসূচি পালিত হয়েছে। এরপর প্রথম দফায় গত ৩১ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত ৭২ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হয়।