- নভেম্বর ৮, ২০২৩
- জাতীয়
- 175
নিউজ ডেস্কঃ বাংলাদেশের প্রধান বিরোধীদলীয় নেত্রী খালেদা জিয়াকে দেশের বাইরে জরুরি চিকিৎসার জন্য মুক্তি দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক প্রধান ভলকার তুর্ক। সম্প্রতি এক চিঠি দিয়ে এই আহ্বান জানান তিনি।
বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে বলা হয়, খালেদা জিয়ার লিভার সিরোসিস, ডায়াবেটিস এবং হৃদরোগ রয়েছে। গত মাসে তিন মার্কিন চিকিৎসক তার সার্জারি সম্পন্ন করেন। কিন্তু তার লিভার প্রতিস্থাপনের জন্য জার্মানিতে নিয়ে যেতে পরিবারের আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে বাংলাদেশ সরকার। বাংলাদেশের চিকিৎসকরা বলছেন, বিদেশি চিকিৎসা না পেলে দুবারের এই সাবেক প্রধানমন্ত্রীর জীবন উচ্চ ঝুঁকিতে থাকবে।
হাইকমিশনার তুর্ক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লিখেছেন, খালেদা জিয়ার মুক্তিকে রাজনৈতিক সংলাপ ও সমঝোতার পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হবে। এমতাবস্থায় আমি আপনার সরকারের কাছে তার মুক্তির বিষয়টি বিবেচনা করে দেখার জন্য আবেদন করছি। এতে খালেদা জিয়া দেশের বাইরে গিয়ে তার জরুরি এবং বিশেষায়িত চিকিৎসা গ্রহণ করার সুযোগ পাবেন।
বাংলাদেশে গণগ্রেপ্তার নিয়ে উদ্বেগ জাতিসংঘের
গণগ্রেপ্তারসহ বাংলাদেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আবারও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজাররিক এ উদ্বেগের কথা জানান।
ব্রিফিংয়ের প্রতিলিপি জাতিসংঘের ওয়েবসাইটে বুধবার (৮ নভেম্বর) প্রকাশ করা হয়। এতে বলা হয়, সহিংসতা ও জোরপূর্বক আটকের অত্যধিক ব্যবহার বন্ধে জাতিসংঘ মহাসচিবের আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছে বাংলাদেশ সরকার। ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, জাতিসংঘ একটি অকার্যকর সংস্থা। কিছু ভালো কথা বলা ছাড়া বিশ্বে এই সংস্থার আর কোনো ভূমিকা নেই। আট হাজারের বেশি বিরোধী নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার, পুলিশের হাতে মানুষ নিহত হওয়ার বিষয়ে জাতিসংঘের অবস্থান কী? এমন প্রশ্নের জবাবে স্টিফেন ডুজাররিক বলেন, জাতিসংঘের সমালোচনা করাটা নতুন কিছু নয়। বিভিন্ন সময় এমন অভিযোগ দাঁড় করানো হয়েছে।
মুখপাত্র আরও বলেন, বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে আগে যা বলেছি এখনো তাই বলছি। দেশটিতে গণগ্রেপ্তারসহ সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন আমরা।