- নভেম্বর ৫, ২০২২
- হবিগঞ্জ
- 102
হবিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ হবিগঞ্জের সদর উপজেলার রিচি ইউনিয়নের নারায়নপুর গ্রামে পূর্ব বিরোধের জেরে মমিন মিয়া নামে এক যুবককে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার ( ৫ নভেম্বর ) রাত সাড়ে নয়টার দিকে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় রোববার (৬ নভেম্বর) মৃত মমিন মিয়ার পিতা মঞ্জিল মিয়া একই গ্রামের প্রসেনজিত গোপ (২৮), প্রদীপ গোপ (৩০) সহ ১৪জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেছেন।
মামলার এজহার সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত প্রসেনজিত গোপসহ মামলার অপরাপর আসামিদের সাথে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধ চলছিল। এই হত্যার কিছুদিন আগেও আসামিরা ভিকটিমের জায়গা জমি জোর পূর্বক দখল করার চেষ্টা করে। তখন মমিন মিয়াসহ তার পরিবারের লোকজন প্রতিবাদ করে। এরপর থেকেই আসামিরা মমিন মিয়ার পরিবারের লোকদের ক্ষতি করতে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করতে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় ৫ নভেম্বর তুচ্ছ বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটির জেরে আসামিরা রামদা, লোহার রড, কিজির, ফিকলসহ দেশীয় অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে পরিকল্পিতভাবে আক্রমণ করে। তখন মমিন মিয়া ঘর থেকে বের হয়ে প্রতিবাদ করলে মামলার ৪নং আসামী নয়ন গোপ তার হাতে থাকা রামদা দিয়া মমিন মিয়ার মাথায় আঘাত করে। এরপর ১নং আসামী প্রসেনজিত গোপ তার হাতে থাকা রামদা দিয়া উপুরযুপরি মমিন মিয়াকে আঘাত করতে থাকে। তখন গুরুতর আহত মমিন মিয়াকে তার পরিবারের লোকজন ও প্রতিবেশীরা মিলে হবিগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। তখন তার অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় সদর হাসপাতাল থেকে সিলেট এম এ জি ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। ঐ দিন রাত্র ১টার সময় সিলেট নেওয়ার পথে মমিন মিয়া মৃত্যু বরন করেন।
মৃত মমিন মিয়ার পিতা মঞ্জিল মিয়া বলেন, আমি অত্যন্ত নিরীহ মানুষ। আমরা ছেলে মমিন অনেক শান্ত ছেলে ছিল। কিন্তু প্রসেনজিত, নয়ন গংরা এলাকার কোন বিচার পঞ্চায়েত মানে না। আমাদের জায়গা দখল নিতে না পেরে ওরা আমার ছেলেকে হত্যা করেছে। প্রসেনজিত আমার ছেলেকে মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য ওর ঘাড় বরাবর রামদা দিয়া কুব দেয়। আমার ছেলেকে হত্যার পরও ওরা আমাকে হুমকি দিয়েছে মামলা না করার জন্য।
এ ব্যাপারে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, আমরা অভিযোগ পেয়েছি। নিহতের মরদের পোসমর্টেম করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। অভিযুক্ত আসামিদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।