- ডিসেম্বর ১৪, ২০২৩
- শীর্ষ খবর
- 232
নিউজ ডেস্কঃ মুক্তিযুদ্ধের শেষ মুহূর্তে যখন দখলদার পাকিস্তানি বাহিনী বুঝতে পারে যে তাদের পরাজয় অনিবার্য, তখন তারা চূড়ান্ত আঘাত হানে স্বাধীন বাংলাদেশকে মেধাশূন্য করার লক্ষ্যে।
বৃহস্পতিবার (ডিসেম্বর ১৪) শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে সকাল ৯ টায় নগরের চৌহাট্টাস্থ শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে জেলা আওয়ামী লীগের নেতারা পুস্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণ করেন।
পুস্পস্তবক অর্পণ শেষে এক সংক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়ায় সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিলেট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মো. নাসির উদ্দিন খান বলেন, বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে আজ যে দিবস আমরা পালন করছি, তা সার্থক হবে, যদি আমরা তাঁদের উদার মানবিক চিন্তা ও আদর্শকে ধারণ করতে পারি। তাঁরা যে উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন, সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে বাংলাদেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন শেখ হাসিনা। বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা রোধে আজ দেশে-বিদেশে নানা রকম ষড়যন্ত্র হচ্ছে। দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আদর্শ হোক আমাদের পাথেয়।
শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শফিকুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. নাসির উদ্দিন খান, সহ-সভাপতি আশফাক আহমদ, অ্যাডভোকেট শাহ ফরিদ আহমদ, অধ্যক্ষ সুজাত আলী রফিক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন ইসলাম কামাল, মোহাম্মদ আলী দুলাল ও বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মস্তাক আহমদ পলাশ।
প্রসঙ্গত, ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তানি দখলদার বাহিনী ও তাদের দোসর রাজাকার আল-বদর,আল-শামসরা বাংলার শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীদের পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে।
মুক্তিযুদ্ধের প্রথম প্রহর থেকে বিজয়ের পূর্বমুহূর্ত পর্যন্ত যেসব বরেণ্য বুদ্ধিজীবীকে আমরা হারিয়েছি, তাঁদের মধ্যে আছেন অধ্যাপক গোবিন্দ চন্দ্র দেব, মুনীর চৌধুরী, জ্যোতির্ময় গুহঠাকুরতা, ড. মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী, রাশীদুল হাসান, ড. আবুল খায়ের, ড. আনোয়ার পাশা, সিরাজুদ্দীন হোসেন, শহীদুল্লা কায়সার, আলতাফ মাহমুদ, নিজামুদ্দীন আহমদ, গিয়াসউদ্দিন আহমদ, ডা. ফজলে রাব্বী, ডা. আলীম চৌধুরী, আ ন ম গোলাম মোস্তফা, সেলিনা পারভীন প্রমুখ।