• জানুয়ারি ৩, ২০২৪
  • লিড নিউস
  • 102
ভোটের মাঠে ‘নিখোঁজ’ ইলিয়াসের নাম, সতর্ক থাকার আহ্বান স্ত্রীর

নিউজ ডেস্কঃ সিলেট-২ আসনের সাবেক এমপি ও বিএনপির ‘নিখোঁজ’ নেতা এম ইলিয়াস আলীর নাম নিয়ে ‘আবেগী প্রচার’ থেকে ভোটারদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন তার স্ত্রী, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা তাহসিনা রুশদীর লুনা।

তিনি বলেছেন, পাতানো নির্বাচনে এমপি হওয়ার জন্য ভোটের মাঠে দীর্ঘ ১২ বছর ধরে নিখোঁজ থাকা সাবেক এমপি ও বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এম ইলিয়াস আলীর নাম ব্যবহার করে ভোটারদের সঙ্গে প্রতারণা করছে একটি মহল। এই প্রতারণা থেকে সতর্ক থাকতে তাহসিনা রুশদীর লুনা নির্বাচনি এলাকার (সিলেট-২) জনসাধারণের প্রতি সম্প্রতি সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে আহ্বান জানিয়েছেন।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তাহসিনা রুশদীর লুনা বলেন, ‘নির্বাচনি বৈতরণী পাড়ি দেওয়ার জন্য আমার সঙ্গে কথা বলেছেন বলে ভোটারদের মধ্যে আবেগপ্রবণ কথা বলে প্রতারণার মাধ্যমে ভোট পাওয়ার চেষ্টা করছেন পাতানো নির্বাচনের প্রার্থীরা। বিএনপি যেখানে বর্তমান সরকারের অধীনে পাতানো নির্বাচন (দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন) বর্জন করেছে, সেখানে আমি কীভাবে নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলব? পাতানো ওই নির্বাচনে জনগণকে ভোট দেওয়ার কথা কেন বলব? দলের সঙ্গে আমিসহ বিএনপির সর্বস্তরের নেতা-কর্মীও সরকারের ওই পাতানো নির্বাচন বর্জন করেছেন। তাই বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের কেউ ভোট সেন্টারের যাবেন না, ভোটও দেবেন না। কেউ ইলিয়াস আলীর নাম নিয়ে আবেগ দেখালে এড়িয়ে যাবেন।’

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে লুনা আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার ৭ জানুয়ারি সংখ্যাগরিষ্ঠ বিরোধী দলের অনুপস্থিতিতে একটি পাতানো নির্বাচন মঞ্চস্থ করার পরিকল্পনা করছে। যেখানে শুধু আওয়ামী লীগ ওই নির্বাচনে এককভাবে অংশ নিচ্ছে, যাদের অন্যান্য দল বলা হচ্ছে, তারাও আওয়ামী লীগ মনোনীত বা সমর্থিত। সেখানে এটা নিশ্চিত যে, আওয়ামী লীগই ক্ষমতায় আসবে, এমনকি কে বিরোধী দল হবে, সেটাও তারা ঠিক করছে। মোট কথা, একটি দলের প্রধানই দেশের ৩০০ আসনে কে কে এমপি হবেন, সেটা ঠিক করে দিয়ে নির্বাচন করছেন। এটা মানুষকে বোকা বানানো ছাড়া আর কিছুই না। এ অবস্থায় বিএনপি ও অন্যান্য বৃহৎ দল এ নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে। বর্তমান সরকার ১৫ বছর ধরে দেশের সম্পদ কীভাবে লুটপাট করেছে, তা সরকারি দলের প্রার্থীদের নির্বাচনি হলফনামায় দেখেছেন। এ অবস্থায় এম ইলিয়াস আলীর নির্বাচনি এলাকার জনগণ তথা দেশবাসীকে জাতির বৃহৎ স্বার্থে তামাশার ওই নির্বাচনে নিজেদের পবিত্র আমানত ভোট প্রদান করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাই।’

সিলেট-২ (বিশ্বনাথ-ওসমানীনগর) আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য শফিকুর রহমান চৌধুরী, বর্তমান সংসদ সদস্য গণফোরামের মোকাব্বির খান, সাবেক সংসদ সদস্য জাতীয় পার্টির ইয়াহইয়া চৌধুরী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী বিশ্বনাথ পৌরসভার মেয়র মুহিবুর রহমান, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির মো. মনোয়ার হোসাইন, তৃণমূল বিএনপির মোহাম্মদ আব্দুর রব ও বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো. জহির। ভোটাররা বলছেন, সব প্রার্থীই নির্বাচনি প্রচারে এম ইলিয়াস আলীর নাম নিচ্ছেন। নিখোঁজের ব্যাপারে সহমর্মিতার কথা বলে ভোটারদের আকৃষ্ট করার চেষ্টা করছেন।

এম ইলিয়াস আলীর বাড়ি সিলেট-২ (বিশ্বনাথ-ওসমানীনগর) আসনের রামধানা গ্রামে। ২০০১ সালের নির্বাচনে চারদলীয় জোটের প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০১২ সালের ১৭ এপ্রিল রাতে ঢাকার বনানী এলাকা থেকে তিনি নিখোঁজ হন। বিএনপির দাবি, তাকে আওয়ামী লীগ সরকারই ‘গুম’ করে রেখেছে। সূত্র: খবরের কাগজ