- মার্চ ১৬, ২০২৪
- মৌলভীবাজার
- 92
নিউজ ডেস্ক: কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুস শহীদ বলেছেন, নারীর ক্ষমতায়নে সরকার কাজ করছে। তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে নারীদের দক্ষ করতে প্রশিক্ষণ ও ল্যাপটপ দেওয়া হচ্ছে। এসব নারীরা ঘরে বসেই বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জন করতে পারবে। ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে নারীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য।
শনিবার (১৬ মার্চ) জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মৌলভীবাজারে তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের উদ্যোগে হার পাওয়ার প্রকল্পের আওতায় প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ২৬৫ জন নারীকে বিনামূল্যে ল্যাপটপ দেওয়া হয়েছে।
জেলা প্রশাসক ড. উর্মি বিনতে সালামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- সংসদ সদস্য মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান, পুলিশ সুপার মনজুর রহমান, তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপসচিব তওহিদ আহমদ সজল প্রমুখ।
নারীর ক্ষমতায়নে তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের উদ্যোগে গ্রহণ করা হয়েছে হার পাওয়ার প্রকল্প। হার পাওয়ার প্রকল্পের উদ্দেশ্য তথ্যপ্রযুক্তির সর্বোত্তম নিরাপদ ব্যবহার করে দক্ষতা বাড়ানোর মাধ্যমে নারীদের আত্মকর্মসংস্থানের ব্যবস্থা ও উদ্যোক্তা হিসেবে তাদের টেকসই ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করা।
সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে জানা যায়, ৪৩টি জেলার সদর উপজেলাসহ মোট তিনটি উপজেলা ও রংপুর জেলার পীরগঞ্জ উপজেলাসহ মোট ১৩০টি উপজেলায় তথ্যপ্রযুক্তিতে নারীদের সক্ষমতা বাড়াতে চারটি ক্যাটাগরিতে মোট ২৫ হাজার ১২৫ জন নারীকে পাঁচ মাসব্যাপী প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এর মধ্যে IT Service Provider হিসেবে ১০ হাজার ৪০০ জন, Women Freelancer হিসেবে ১০ হাজার ৪০০ জন, Women Call Centre Agent হিসেবে এক হাজার ৭৫ জন ও Women E-commerce Professional হিসেবে তিন হাজার ২৫০ জন।
প্রশিক্ষণ শেষে উত্তীর্ণ প্রশিক্ষণার্থীদের নিয়ে মাসব্যাপী মেন্টরশিপ প্রোগ্রামের আয়োজন করা হবে। তথ্যপ্রযুক্তি প্রয়োগে নারীর ক্ষমতায়ন বিষয়ে কেন্দ্রীয় পর্যায়ে দুটি ও ৪৪টি জেলায় একটি করে ৪৬টি সেমিনার আয়োজন ও প্রচার করা হবে।
২৫ হাজার ১২৫ জন নারীকে আইসিটি পেশাজীবী ও উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তোলার জন্য একটি একক নারী উদ্যোক্তা প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা হবে। সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে পার্টনারশিপ স্থাপন ও চাকরিমেলার আয়োজন করা হবে।
প্রকল্পের ফলাফল তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে নারীর দক্ষতা অর্জিত হবে, নতুন কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে। অর্থাৎ অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে নারীদের অংশগ্রহণ বাড়বে। উপজেলা পর্যায়ে আইসিটি সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে প্রযুক্তি খাতে দক্ষ নারী কর্মী ও নারী উদ্যোক্তা তৈরি হবে।
সরকারি-বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে পার্টনারশিপের ফলে উপজেলা পর্যায়ের নারীদের প্রশিক্ষণ পরবর্তী কর্মসংস্থান ও পরামর্শদানের মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করা হবে।