• জুলাই ২৪, ২০২৪
  • জাতীয়
  • 53
সরকার গণহত্যাকে আড়াল করতে বিরোধীদের ওপর খড়গহস্ত হয়েছে : বিবৃতি

নিউজ ডেস্কঃ আওয়ামী লীগ সরকার গণহত্যাকে আড়াল করতে বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীদের ওপর খড়গহস্ত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিভিন্ন বিরোধী দলের শীর্ষ নেতারা।

তারা অভিযোগ করে বলেন, ‘রাজধানীর বিভিন্ন স্থানসহ সারা দেশে নির্বিচারে গুলি করে গণহত্যা চালানোর পর আন্দোলনকারীদের দুষ্কৃতকারী বলে চিহ্নিত করার অপচেষ্টায় মেতে উঠেছে সরকার। শত শত নাগরিক হত্যার বিচার উপেক্ষা করতে সরকার নির্বিচারে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের চিরুনি অভিযানের মাধ্যমে গণহারে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন চালাচ্ছে।’

বুধবার (২৪ জুলাই) এক যুক্ত বিবৃতিতে এসব অভিযোগ করেন তারা।

নেতারা বলেন, ‘ছাত্রদের ন্যায্য আন্দোলন দমন করতে সরকার নৃশংসভাবে শত শত ছাত্র-জনতাকে গুলি করে হত্যা করেছে। এমনকি হেলিকপ্টার দিয়ে গুলি করে বাসার বারান্দায় অবস্থানরত মানুষকে পর্যন্ত খুন করেছে। প্রকৃত ঘটনা আড়াল করতে নির্লজ্জভাবে মিডিয়া নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। সাধারণ মানুষসহ বিশ্ববাসী যেন জানতে না পারে কত মানুষকে হত্যা করা হয়েছে সেজন্যই ইন্টারনেটসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধ, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়াগুলোতে সেন্সরশিপ আরোপ করা হয়েছে।’

তারা বলেন, ‘আপিল বিভাগের রায়ের পর কোটা নিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি হলেও আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অন্যান্য দাবি পূরণের কোনো লক্ষণ আমরা দেখতে পাচ্ছি না। নিহতদের পরিবারের প্রতি ন্যূনতম কোনো মানবিক আচরণতো করাই হয়নি, উপরন্তু তারা যেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সরকারি দলের গুন্ডাদের বিরুদ্ধে মামলা না করে সেই ভয় দেখিয়ে পুলিশ নিহতের পরিবারকে লাশ দাফন করতে বাধ্য করেছে। এমন অমানুষিক নির্যাতনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’

জাতীয় দলের সভাপতি এহসানুল হুদাকে গ্রেপ্তারেরও নিন্দা জানিয়ে নেতারা বলেন, ‘গ্রেপ্তার ও নির্যাতন করে কেউ অতীতে টিকে থাকতে পারেনি। ভবিষ্যতেও পারবে না। দেশের এরকম অরাজক পরিস্থিতিতে দ্রব্যমূল্যের সীমাহীন ঊর্ধ্বগতিতে মানুষ দিশেহারা। ইন্টারনেট বন্ধ করে দিয়ে জনগণের দুর্ভোগ চরম মাত্রায় নিয়ে গেছে সরকার।’

যৌথ বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আসম আব্দুর রব, ১২ দলীয় জোটের প্রধান মোস্তফা জামাল হায়দার, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকী, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম বাবলু, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইউম, এবি পার্টির সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু, গণফোরামের সম্পাদক সুব্রত চৌধুরী, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক ফয়জুল হাকিম লালা, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সমন্বয়ক ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, বাংলাদেশ এলডিপির সেক্রেটারি শাহাদাত হোসেন সেলিম, এনডিএম চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ, গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক কর্নেল (অব.) মিয়া মশিউজ্জামান, গণঅধিকার পরিষদের সেক্রেটারি রাশেদ খান প্রমুখ।