- সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২৪
- শীর্ষ খবর
- 35
নিউজ ডেস্কঃ সিলেটের শাহপরাণ থানার বটেশ্বর এলাকা থেকে পৃথক অভিযানে ভারতীয় চোরাই চিনির দুটি বড় চালান জব্দ করেছে থানাপুলিশ। এর মধ্যে একটি চালান জব্দকালে রুফিয়ান আহমেদ সবুজ (সাদ্দাম) নামের এক ছাত্রদল নেতার ভাইকে আটক করা হয়েছে। সাদ্দাম সিলেট সদর ছাত্রদলের সদস্যসচিব। তার বাড়ি সিলেট সদর উপজেলার খাদিমপাড়া ইউনিয়নের (বটেশ্বর এলাকার) কানুগুল গ্রামে।
এই দুই চালান জব্দকালে ৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ। তারা হলেন- ছাত্রদল নেতা রুফিয়ানের ভাই সুফিয়ান আহমেদ, জৈন্তাপুর উপজেলার চিকনাগুল এলাকার অঞ্জন রায়, নবীগঞ্জ উপজেলার কলিম উদ্দিন ও জৈন্তাপুরের পশ্চিম ঠাকুরের মাটি এলাকার মৃত লুৎফুর রহমানের ছেলে মো. আলাউদ্দিন।
এ চারজনকে মামলা দায়েরপূর্বক শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন শাহপরাণ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য্য।
পুলিশ সূত্র জানায়, শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৫টার দিকে বটেশ্বর এলাকায় সিলেট-তামাবিল সড়কে অভিযান চালিয়ে একটি ট্রাকে থাকা ৫০ বস্তা ভারতীয় চিনি জব্দ করে পুলিশ। এসময় ছাত্রদল নেতা রুফিয়ানের ভাই সুফিয়ান, অঞ্জন রায় ও কলিম উদ্দিনকে আটক করা হয়।
এর আগে শুক্রবার ভোররাতে একই এলাকায় অভিযান চালিয়ে একটি ট্রাকে তল্লাশি চালিয়ে ৯০ বস্তা চোরাই চিনি জব্দ করে থানাপুলিশ। এসময় আলাউদ্দিনকে আটক করা হয়।
তবে এ চালানের সঙ্গে থাকা ছাত্রদল নেতা সুফিয়ান ও ট্রাকচালক কামরুল ইসলাম পালিয়ে গেছেন বলে পুলিশ জানায়।
পুলিশ বলছে- এই দুই চালানের সঙ্গে জড়িত সুফিয়ানসহ মূল হোতাদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রেখেছে তারা।
৫ আগস্টের আগে চিনিসহ সকল চোরাই পণ্যের সঙ্গে জড়িত ছিলো সিলেট আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। হাসিনা সরকার পতনের পর সচেতন সিলেটবাসী মনে করেছিলেন- এবার এ অবৈধ কারবার বন্ধ হবে। কিন্তু হয়নি। অভিযোগ রয়েছে- হাতবদল হয়ে এবার চিনিসহ সকল চোরাই পণ্যের কারবার চলে এসেছে সিলেটের কতিপয় যুবদল-ছাত্রদল নেতার হাতে। তবে বিষয়টি নিয়ে হার্ড লাইনে বিএনপি ও দলটির অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনগুলোর হাই কমান্ড। শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার দায়ে ইতোমধ্যে কয়েকজনের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে। এসব বিষয়ে কোনো ছাড় দেওয়া হবে বলে পরিষ্কার বক্তব্য বিএনপির।
এদিকে, সম্প্রতি দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ (এসএমপি) কমিশনার জাকির হোসেন খান (পিপিএম- সেবা) বলেন- এটি ঠিক যে, চোরাচালান পণ্যের সঙ্গে শুধু বাহকরা ধরা পড়ে, মূল হোতারা থেকে যায় অন্তরালে। তবে সিলেটে এখন আর এমনটি হবে না। এখন থেকে সিলেট মহানগর এলাকায় চোরাই পণ্য জব্দের সব মামলার তদন্তকালে পুলিশ চোরাচালানের গডফাদারদের খুঁজে বের করে তাদের বিরুদ্ধেও আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। এ বিষয়ে আমরা বদ্ধপরিকর।