- অক্টোবর ৩, ২০২৪
- শীর্ষ খবর
- 23
নিউজ ডেস্কঃ মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে শুরু হওয়া বৃষ্টির কারণে দেশের দুই বিভাগে নদীর পানি বাড়ছে বলে জানিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।
বুধবার কেন্দ্রের নিয়মিত বুলেটিনে বলা হয়, সিলেট বিভাগের সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর পানি বাড়লেও বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী তিনদিন সিলেট বিভাগ ও এর সংলগ্ন উজানে ভারী বৃষ্টির কারণে সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর পানি বাড়বে, তবে বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে।
আর সারিগোয়াইন, খোয়াই, কংস, ভুগাই ও ধলাই নদীর পানি কমছে। অন্যদিকে যাদুকাটা, মনু ও সোমেশ্বরী নদীর পানি স্থিতিশীল আছে এবং বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
আগামী তিনদিন সিলেট বিভাগের এসব নদীর পানি বাড়তে পারে, তবে বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে বলে জানানো হয় বন্যার পূর্বাভাসে।
বুলেটিনে বলা হয়, চট্টগ্রাম বিভাগের গোমতী ও হালদা নদীর পানি কমছে, ফেনী ও সাঙ্গু নদীর পানি স্থিতিশীল আছে। অন্যদিকে মুহুরী ও মাতামুহুরী নদীর পানি বাড়ছে এবং বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী তিনদিন চট্টগ্রাম বিভাগ ও এর সংলগ্ন উজানে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। এর ফলে চট্টগ্রাম বিভাগের এসব নদীর পানি বাড়তে পারে, তবে বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে।
আর রাজশাহী বিভাগের গঙ্গা নদীর ও তার ভাটিতে পদ্মা নদীর পানি সমতল স্থিতিশীল আছে এবং বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী তিনদিন গঙ্গা-পদ্মা নদীর পানি ধীর গতিতে বাড়তে পারে এবং পরবর্তী দুইদিন স্থিতিশীল থাকতে পারে, তবে বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে।
বন্যার পূর্বভাস বলছে, রংপুর বিভাগের ব্রহ্মপুত্র ও তার ভাটির যমুনা নদীর পানি কমছে এবং বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় পর্যন্ত এসব নদীর পানি কমতে পারে। তবে পরবর্তী চার দিন ধীর গতিতে বাড়লেও বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে।
ওই বিভাগের তিস্তা নদীর পানি স্থিতিশীল আছে, অন্যদিকে ধরলা ও দুধকুমার নদীর পানি কমছে এবং বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী ৩ দিন এসব নদীর পানি আরও কমতে পারে।
আর দেশের সব প্রধান নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে, বলা হয় বুলেটিনে।