• অক্টোবর ১৭, ২০২৪
  • শীর্ষ খবর
  • 20
ড. ইউনূসের নেতৃত্বে দ্রুত সুষ্ঠু নির্বাচন হবে: এম এ মালেক

নিউজ ডেস্কঃ ড. ইউনূসের নেতৃত্বে দ্রুতই অবাক সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন যুক্তরাজ্য বিএনপি সভাপতি এম এ মালেক।

তিনি বলেন, আমাদের নেতা তারেক রহমানও ড. ইউনূসের পাশে থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে রাষ্ট্র সংস্কারে সহযোগিতা করার জন্য বিএনপির নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) দুপুর দেড়টার দিকে ওসমানী বিমানবন্দরে পৌঁছার পর নেতাকর্মীদের উষ্ণ সংবর্ধনায় সিক্ত হন এম এ মালেক।

আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালে দেশে ফিরতে না পারা এম এ মালেক দেড় দশক পর বৃহস্পতিবার নিজ জন্মভূমি সিলেটে এসে পৌঁছান।

সিলেটে পৌঁছার পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদ আওয়ামী লীগ সরকারের পতনে দেশ নায়ক তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিএনপি মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনতে, সাম্য, মানবিকতা ও সামাজিকতা ফেরাতে দীর্ঘ ১৬ বছর আন্দোলন করে গেছে। তারেক রহমানের সেই ‘টেক ব্যাক বাংলাদেশ ‘ সফল হয়েছে। ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন ঘটাতে আমরা ব্রিটিশ বাংলাদেশিরা সোচ্চার ছিলাম।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীরা তাদের জীবন দিয়ে আমাদের স্বাধীন করে দিয়ে গেছে, এ জন্য আমরা তাদের কাছে কৃতজ্ঞ, আমরা বিশ্বাস করি সারা বাংলাদেশের মানুষ তাদের পরিবারের পাশে দাঁড়াবে।

স্বৈরাচার পতন আন্দোলনে সাংবাদিকদের নিরপেক্ষ ভূমিকার প্রশংসা করে এম এ মালেক এ জন্য বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের শুভেচ্ছা জানান। বিশেষ করে বেগম খালেদা জিয়া অন্যায়ভাবে জুলুমের শিকার। তিনি ন্যায় বিচার পেয়েছেন। উনার কোনো দোষ ছিল না।

ন্যায় প্রতিষ্ঠা করার জন্য প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসকে ধন্যবাদ জানান।

তিনি বলেন, আগামীতে তারেক রহমানও বীরের বেশে দেশে ফিরবেন। উনি আইনি লড়াই করছেন, কোনো ফেভার চাচ্ছেন না। উনিও ন্যায় বিচার পাবেন ইনশাআল্লাহ। আইনি লড়াই শেষে তিনি অচিরেই দেশে ফিরে আসবেন এবং তার নেতৃত্বে বিএনপি আগামি নির্বাচনে বিজয়ী হবে, আশাবাদী তিনি।

ড. ইউনূস প্রসঙ্গে তিনি বলেন, উনি অবাধ, সুষ্টু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দেবেন বিশ্বাস করি। উনি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত একজন ভালো মানুষ। বিশ্বজুড়ে উনার একটা মান আছে এবং তিনি অনিয়ম করবেন না বিশ্বাস করি। তারেক রহমানও ড. ইউনূসের পাশে থেকে সময় দিতে চান। আমরাও প্রবাসীরা তার ড. ইউনূসের ওপর আস্থাশীল।

তিনি বলেন, এখন সংবাদপত্র অনেক স্বাধীন। আপনারাও চাইবেন, দেশে একটি সুন্দর নির্বাচন হোক। দেশে গণতন্ত্র ফিরে আসুক। আর সাংগঠনিক বিচার আপনারাও চাইবেন। উচ্চ বিলাসি পুলিশ কর্মকর্তা, সাংবাদিক, উচ্চ বিলাসি প্রশাসন, এদের বিচার করতে হবে।

এ সময় তিনি সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সাংবাদিকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, আপনাদের নিয়ে আমরা সুন্দর, গণতান্ত্রিক দেশ গড়ার অঙ্গীকার করছি। সে সঙ্গে সিলেটবাসী তথা দক্ষিণ সুরমা, ফেঞ্চুগঞ্জ ও বালাগঞ্জের সর্বস্তরের মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই, যারা দেশ স্বৈরাচার মুক্ত হওয়ার আগে ও পরে যোগাযোগ রেখে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন।

এ সময় ওসমানী বিমানবন্দরে সিলেট বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।