• ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২৫
  • জাতীয়
  • 1
প্রধান উপদেষ্টার ‘আয়নাঘর’ পরিদর্শন

নিউজ ডেস্ক: গোপন বন্দিশালা ‘আয়নাঘর’ পরিদর্শন করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। পরিদর্শন শেষে তিনি বলেছেন, আমরা আইয়ামে জাহেলিয়ার কথা শুনেছি, কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকার তা প্রতিষ্ঠা করে গেছে। আয়নাঘর আমাদের সমাজের চরম অবক্ষয়ের প্রতিফলন। বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) গোপন বন্দিশালা ‘আয়নাঘর’ পরিদর্শন শেষ এসব কথা বলেন তিনি।

ড. ইউনূস বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন স্থানে গোপন টর্চার সেলের ভয়াবহ বাস্তবতা উন্মোচিত হয়েছে। এখানে যা দেখলাম, খুবই বীভৎস দৃশ্য। এখানে মনুষ্যত্ববোধের কিছু নেই। যা হয়েছে তা নৃশংস।’

তিনি জানান, বহু নিরীহ মানুষকে বিনা কারণে ধরে এনে অমানবিক নির্যাতন করা হয়েছে। পরে তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রমাণ সাজিয়ে জঙ্গি ও সন্ত্রাসী হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে। অনেককে রাস্তা থেকেও তুলে এনে আটক রাখা হয়েছে বলে জানা গেছে।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘গুম তদন্ত কমিশনের অনুসন্ধানে জানা গেছে, দেশে এমন আরও ৭০০-৮০০ গোপন টর্চারসেল থাকতে পারে। যদিও প্রকৃত সংখ্যা নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি, তবে কেউ কেউ বলছেন, এটি তিন হাজারেরও বেশি হতে পারে।’

গুম তদন্ত কমিশনকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘তাদের অনুসন্ধানে আমরা জানতে পেরেছি, এখানে মানবিক অধিকার সম্পূর্ণভাবে লঙ্ঘিত হয়েছে। এই আয়নাঘর পুরো জাতির জন্য একটি ডকুমেন্ট হিসেবে থাকবে।’

ড. ইউনূস বলেন, ‘এ ঘটনার সঠিক তদন্ত এবং দায়ীদের বিচারের আওতায় আনা প্রয়োজন। না হলে এই অধ্যায় থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব নয়। তাদের বিচারের মাধ্যমে ভুক্তভোগীরা প্রকৃত ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত হবে। পরে তাদের অন্যান্য দিক ভাবা হবে।’

তিনি বলেন, ‘এই ঘটনা শুধু নিন্দা জানিয়ে শেষ করা যাবে না। দায়ীদের বিচারের আওতায় আনতে হবে, ক্ষতিগ্রস্তদের ন্যায়বিচার দিতে হবে। এই আয়নাঘরে সবকিছু সংরক্ষণ করা হবে এবং ভবিষ্যতে পাঠ্যপুস্তকেও অন্তর্ভুক্ত করা উচিত।’