• মার্চ ১৭, ২০২৫
  • মৌলভীবাজার
  • 5
সরকারি চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে

মৌলভীবাজার প্রতিনিধিঃ পবিত্র রমজান ও ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দরিদ্রদের মাঝে ভিজিএফের ১০ কেজি করে চাল বিতরণের জন্য দেয় সরকার। অভিযোগ উঠেছে, নির্ধারিত ১০ কেজির পরিবর্তে নিজের অনুগত কয়েকজনকে ৩০ কেজির আস্ত বস্তা তুলে দিয়েছেন ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) প্যানেল চেয়ারম্যান। ঘটনাটি জুড়ী উপজেলার সাগরনাল ইউনিয়নের।

এ বিষয়ে ওই ইউনিয়নের সামসউদ্দিন নামে এক বাসিন্দা রোববার (১৬ মার্চ) জুড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

অভিযোগে সামসউদ্দিন উল্লেখ করেন, রমজান ও ঈদ উপলক্ষে শনিবার (১৫ মার্চ) সাগরনাল ইউনিয়ন পরিষদে দরিদ্র লোকদের মাঝে ১০ কেজি করে ভিজিএফের চাল বিতরণ করা হয়। চাল বিতরণকালে ইউনিয়ন পরিষদের ৫নং ওয়ার্ডের সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান (বর্তমান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান) শরফ উদ্দিন নিজ অনুগত লোকদেরকে ১০ কেজির পরিবর্তে পুরো একবস্তা করে চাল দিয়ে দিচ্ছেন—এরকম সংবাদ শুনে একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে আমি তৎক্ষণাৎ ইউনিয়ন পরিষদে যাই এবং সেখানে গিয়ে আমি এর সত্যতা পাই। আমাদের সামনে শরফ উদ্দিনের কাছের লোক বলে পরিচিত উত্তর সাগরনাল গ্রামের আব্দুল কাইয়ুম ও একই গ্রামের জফর আলীকে সরকার কর্তৃক সরবরাহকৃত চালের সেলাই করা পুরো বস্তা কাঁধে করে নিয়ে যেতে দেখি। এ সময় আমার অপরিচিত আরও দুইজন লোক একইভাবে একবস্তা করে চাল নেওয়ার সময় উপস্থিত লোকজন বাধা দিলে তারা বস্তা ফেরত দিতে বাধ্য হন।

অভিযোগের সঙ্গে এসব ঘটনার ভিডিও ইউএনওর হোয়াটসঅ্যাপে দিয়ে তদন্ত সাপেক্ষ উক্ত ইউপি সদস্য ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শরফ উদ্দিনের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে আবেদন জানিয়েছেন সামসউদ্দিন। অবগতির নিমিত্তে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ও মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসককে অনুলিপিও দিয়েছেন তিনি।

অভিযোগের বিষয়ে ইউপি সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান শরফ উদ্দিন বলেন, প্রতি বছর চাল বিতরণ করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় এ বছরও চাল বিতরণ করা হয়। আমার প্রতিপক্ষ আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে এই অভিযোগ দিয়েছে।

তিনি বলেন, অনেকে হয়তো দুই-তিনজন মিলে আলাদা চটের বস্তায় একসঙ্গে করে চাল নিয়েছে। কেউ কেউ আবার ইউপি সদস্যদের থেকে পৃথকভাবে দুইবার চাল পেয়েছে। তবে ইউনিয়নে আগত প্রত্যেককেই চাল প্রদান করা হয়েছে। এখানে আরও অনেক লোক ছিলেন। তারা দেখেছেন, আমি কী করেছি। মূলত আমার কার্যক্রমে সাধারণ মানুষ সন্তুষ্ট থাকলেও প্রতিপক্ষ বিরক্ত। তাই অভিযোগ দিয়েছে।

লিখিত অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে ইউএনও বাবলু সূত্রধর বলেন, সোমবার একজন কর্মকর্তাকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি করে দেওয়া হবে। তদন্ত কমিটি সাত কর্মদিবসের মধ্যে তাদের তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেবে। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।