• মার্চ ২২, ২০২৫
  • শীর্ষ খবর
  • 9
খুশির ঈদ উপহারে খুশি শতাধিক সুবিধাবঞ্চিত শিশু

নিউজ ডেস্ক: ঈদ আসার আগেই শুক্রবার সকালে সিলেট শহরের শিবগঞ্জ লাকড়িপাড়ায় কলোনির শিশুরা ঈদের আনন্দ পায়। কারণ এই কলোনির প্রায় শতাধিক শিশু ঘুম থেকে উঠেই পেয়ে যায় নতুন জামা। ফুলে ফুলে ভরা গোলাপি জামা পেয়ে খুশি ৮ বছর বয়সী লাকি। সে বলে, এরকম ফুলের জামা আমার মামার মোবাইলে দেখেছিলাম কয়েকদিন আগে। আজ এই জামাটাই পেয়েছি তাই অনেক খুশি লাগছে।

লাকির মতো ঈদের জামা পেয়ে মহা খুশি চার বছর বয়সী নোহা। তাই জামা হাতে পেয়েই সে পড়ার বায়না ধরে মায়ের কাছে। মা জামাটি পড়িয়ে দিলে নোহা আশপাশে দৌড়াদৌড়ি করে আনন্দ উদযাপন করে অন্য শিশুদের সঙ্গে।

সিলেটের শিবগঞ্জ এলাকায় সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মধ্যে ঈদের পোশাক বিতরণ করেছেন সিলেটের নারী উদ্যোক্তা আমিনা খুশি। খুশির অনলাইন ভিত্তিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ‘গ্ল্যামডাস্ট’ এই উদ্যোগের মাধ্যমে শিশুদেরকে পোশাক দেওয়া হয়। তিনি ব্যবসার লাভাংশ, গ্রাহক, শুভানুধ্যায়ী এবং পরিবারের সদস্যদের থেকে প্রাপ্ত অর্থ দিয়ে শতাধিক শিশুর জন্য ঈদের পোশাক ক্রয় করেন।

শুক্রবার (২১ মার্চ) সিলেট শহরের শিবগঞ্জ লাকড়িপাড়ায় শতাধিক শিশুর মধ্যে পোশাক বিতরণ করে নারী উদ্যোক্তা আমিনা খুশি। এতে শিশুদের যেমন হাসি ফুটেছে, শিশুদের অভিভাবকরা বেশ আনন্দিত হয়েছেন।

লাকড়িপাড়ায় কলোনির বাসিন্দা বুশরা আক্তার বলেন, আমি মানুষের বাসায় গৃহকর্মীর কাজ করি। বেতন পেলে ফুটপাত থেকে মেয়েকে একটা জামা কিনে দিতাম। আমার ইচ্ছা থাকলেও এমন জামা আমার মেয়েকে কিনে দিতে পারতাম না। তাই অনেক ভাল লাগছে মেয়ের খুশি দেখে। আমার মেয়ের মুখে হাসিই আমার ঈদের আনন্দ।

অনলাইন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গ্ল্যামডাস্টের পরিচালক আমিনা খুশি বলেন, ‘ঈদ আমাদের জীবনে একটি বিশেষ মুহূর্ত। কিন্তু অনেকেই অর্থনৈতিক কারণে ঈদের আনন্দ পুরোপুরি উপভোগ করতে পারেন না। সমাজের সুবিধাবঞ্চিত শিশুরা যেন ঈদে নতুন পোশাক পায় এবং সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগ করে নিতে পারে, সে জন্যই গ্লামডাস্টের এই উদ্যোগ আমাদের সম্মিলিত এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা শিশুদের ঈদের আনন্দে একটু হলেও অংশীদার হতে সাহায্য করতে পারে, যা আমাদের জন্য অত্যন্ত আনন্দের বিষয়।’

আমিনা খুশি তার বক্তব্যে আরও বলেন, ‘আমার বিশ্বাস, সমাজে ছোট ছোট উদ্যোগের মাধ্যমে বড় পরিবর্তন আনা সম্ভব। এমন উদ্যোগগুলোই একে অপরকে সহযোগিতার দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে। গ্ল্যামডাস্টের মাধ্যমে এই ধরনের উদ্যোগ আমরা ধারাবাহিকভাবে করব।’