• এপ্রিল ১৫, ২০২৫
  • শীর্ষ খবর
  • 4
কয়েক লাখ টাকায় বাঁচতে পারে ফুটফুটে শিশুটি

হবিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ বয়স মাত্র আড়াই বছর । এখনও দেখা হয়নি সুন্দর এ পৃথিবীর কিছুই। মায়ের কোলে হাসি-খেলার পরিবর্তে দিন কাটছে অসহ্য যন্ত্রণায়। প্রতিনিয়ত গুণতে হচ্ছে মৃত্যুর প্রহর। এ গল্প হবিগঞ্জের শিশু সাইমা ইসলামের। মরণব্যাধি ক্যানসার কেড়ে নিয়েছে তার সুখ-আনন্দ, এমনকি বেঁচে থাকার আশা। সঠিক চিকিৎসার জন্য মাত্র কয়েক লাখ টাকায় নতুন জীবন পেতে পারে ফুটফুটে শিশুটি।

সাইমা হবিগঞ্জ সদর উপজেলার রাজিউড়া ইউনিয়নের সানাবই গ্রামের ছায়েদ আলী ও কাজী ঝর্ণা আক্তারের মেয়ে। সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক বাবা একমাত্র মেয়ের চিকিৎসা করাতে গিয়ে এখন সর্বস্বান্ত হয়ে পড়েছেন।

পরিবারের সূত্রে জানা যায়, মাত্র দুই বছর বয়সে চোখের উপর কপালে একটি ছোট গুটি দেখা দেয়। তখন থেকে চিকিৎসা শুরু করেছিলেন মা-বাবা। কিন্তু এটি আর থামেনি। ক্রমেই বাড়তে থাকে। মাত্র ৬ মাসেই বৃহৎ টিউমারে রূপ নেয়। তাকে ভর্তি করা হয় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে পরীক্ষা নিরীক্ষার পর বলা হয় এটি এরইমধ্যে ক্যান্সারে রূপান্তরিত হয়েছে। পরে পাঠানো হয় ঢাকার মহাখালি ক্যান্সার হাসপাতালে। সেখানে কিছুদিন চিকিৎসা চালিয়েই নিঃস্ব হয়ে পড়েন দরিদ্র মা-বাবা। চিকিৎসা ছেড়ে ছুটে আসেন বাড়িতে। এখন প্রতিনিয়তই এ শিশুটি মৃত্যুর প্রহর গুণছে। অন্যদিকে সন্তানের অসহায়ত্ব দেখে দিশেহারা মা-বাবা চোখের পানি ফেলছেন।

সন্তানকে বাঁচানোর আকুতি জানিয়ে অসহায় মা কাজী ঝর্ণা আক্তার বলেন, বাঁচাতে চাই আমার সন্তানকে। তার মুখে হাসি দেখতে চাই। কিন্তু আমরাতো অসহায় হয়ে পড়েছি। যদি কেউ সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতেন তাহলে আমার সন্তান নতুন জীবন ফিরে পেতো আর কিছু বলতে পারছিলেন না তিনি। এটুকু বলে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।

এদিকে শিশুটির চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন স্থানে যোগাযোগ করে চলেছেন হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মো. ফজলুর রহমান। তিনি বলেন, চিকিৎসায় ব্যয় হতে পারে ৮ থেকে ১০ লাখ টাকা। এটি অনেক ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের জন্য তেমন কিছু না। যদি কারও সুযোগ থাকে তাহলে চিকিৎসা পেলে মেয়েটি নতুন জীবন ফিরে পেতে পারে। তিনি সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।