- সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২১
- সিলেট
- 10

জকিগঞ্জ প্রতিনিধি: সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার গোটারগ্রাম এলাকায় প্রেম সংক্রান্ত ঘটনার জেরে এহসানুল কারিম তুফায়েল নামে এক যুবককে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে।
এহসানুল কারিম তুফায়েলের অভিযোগ তার প্রেমিকার বাবা হুমায়ুন (৪২) স্থানীয় কয়েকজন সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোককে দিয়ে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে তার উপর আক্রমণ চালিয়েছে।
রবিবার ১২ সেপ্টেম্বর সকাল পৌনে ১২টার সময় তুফায়েলের নিজ বাড়ির সামনের রাস্তায় তার উপর হামলা করা হয়।
এদিকে এই হামলার ঘটনায় জকিগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেছেন হামলার শিকার তুফায়েলের বাবা আব্দুল হাফিজ(৬৪)।
মামলার এজহারে উল্লেখ করা হয়, মামলার প্রধান আসামী গোপালগঞ্জ জেলার টুংগীপাড়া উপজেলার হুমায়ুনের মেয়ে রানু আক্তার লিমার সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে এহসানুল কারিম তুফায়েলের। মেয়ের প্রেমিকের পরিবার দরিদ্র এবং ভিন্ন জেলার বাসিন্দা হওয়ায় এই সম্পর্কে মেনে নিতে পারেননি রানু আক্তার লিমার বাবা। তাই বিভিন্ন সময় তুফায়েলকে হুমকি ধমকি দিলেও তারা তাদের প্রেম সম্পর্ক অব্যাহত রাখে। এরপর লিমার বাবা তুফায়েলকে হত্যা করাতে জকিগঞ্জ উপজেলার কতিপয় চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের ভাড়া করে। তাদের পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ১২ সেপ্টেম্বর ভাড়াটে সন্ত্রাসীরা তুফায়েলের নিজ বাসস্থানের সামনের প্রধান সড়কে অপেক্ষা করে।
ওইদিন সকাল আনুমানিক ১১টা ৫০ মিনিটে তুফায়েল বাড়ি থেকে বের হয়ে সড়কে গেলে তার উপর হামলা চালানো হয়।
মামলার আসামীরা হলেন- লিমার বাবা গোপালগঞ্জ জেলার টুংগীপাড়া উপজেলার হুমায়ুন (৪২), জকিগঞ্জ উপজেলার মানিকপুর গ্রামের আনাছ আহমদ (৩০), একই উপজেলার থানাবাজার গ্রামের কাজী মুহিত (৪৮), মল্লিকপুর গ্রামের গোলাম হোসাইন (২৫) ও অমলশীদ গ্রামের আনোয়ার আহমদ হোসাইন (২৭)। এরা ছাড়ারও এই মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ১০/১২ জনকে আসামী করা হয়।
হামলার শিকার তুফায়েলের বাবা আব্দুল হাফিজ বলেন, নিজের মেয়েকে আমার ছেলের সাথে প্রেম করতে আটকাতে না পেরে হুমায়ুন আমার ছেলেকে হত্যা করার জন্য স্থানীয় সন্ত্রাসীদের ভাড়া করে হামলা চালায়। তারা আমার ছেলেকে মারাত্মক জখম করে ও তার ডান পায়ের হাড় ভেঙে দেয়। পরবর্তীতে হামলাকারীরা আমার ছেলেকে মৃত ভেবে রাস্তার পাশে ফেলে রেখে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। এরপর স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা ঘটনাটি দেখে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ এসে আমার ছেলেকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করায়। কিন্তু আমার ছেলের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে সিলেটের এম এ জি ওসমানী হাসপাতালে রেফার্ড করে। বর্তমানে সে ওসমানী হাসপাতালে খুবই আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন আছে।
এ ব্যাপারে জকিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ সৌমিত্র চৌধুরী বলেন, এই হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। আসামিদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।