- জুলাই ১২, ২০২০
- জাতীয়
- 484
নিউজ ডেস্কঃ রাস্তাঘাটের উপর পশুর হাট বসানো যাবে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
তিনি বলেন, ঢাকা শহরের বাইরে পশুর হাট বসানোর জন্য ইতোমধ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নিয়েছে। একই সঙ্গে ঈদের জামাত মসজিদে আদায়ের বিষয়ে ধর্ম মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পশুর চামড়ার দাম নির্ধারণ বিষয়ে শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নেবে।
রোববার (১২ জুলাই) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে ঈদুল আজহা উপলক্ষে দেশের সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যালোচনা, কোরবানির পশুর হাটের নিরাপত্তা ও চামড়া পাচার রোধকরণ এবং শিল্পঞ্চলে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণসহ প্রাসঙ্গিক বিষয়ে করণীয় নির্ধারণের লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত সভায় তিনি একথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় পশুর হাটে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য একটি গাইডলাইন তৈরি করেছে। এ গাইড লাইন বাস্তবায়নের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যবস্থা নেবে। ঢাকা শহরের বাইরে পশুর হাট বসানোর জন্য ইতোমধ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ও সিটি করপোরেশন ব্যবস্থা নেবে। এবছর অনলাইন কেনা কাটার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
‘কোরবানির হাটের ইজারাদারদের ব্যবস্থায় হাটের প্রবেশপথে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখ হবে। ক্রেতাদের মাস্ক পরে হাটে প্রবেশ করতে হবে। কোনো ক্রেতা মাস্ক না পরলে ইজারাদারদের কাছে সংরক্ষিত মাস্ক কিনে হাটে প্রবেশ করতে হবে। হাটের কাছে ব্যাংক বুথ থাকবে।’
রাস্তাঘাটে পশুর হাট বসানো যাবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, পশুর ট্রাক কোন হাটে যাবে তা ট্রাকের সামনে একটি ব্যানারে লেখা থাকবে। পশুর ট্রাক অন্য কোথাও থামানো যাবে না। পশুবাহী কোনো গাড়ি রাস্তায় থামানো যাবে না। নিরাপত্তা বাহিনী প্রতিবারের মতো জাল নোট, চাঁদাবাজি, অজ্ঞান-মলম পার্টি হতে নিরাপত্তা দেবে।
নদীপথে যাত্রীদের যাতায়াতের বিষয়ে আসাদুজ্জামান খান বলেন, নদীপথে ফেরি, লঞ্চ, জাহাজে অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন করা যাবে না। অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন করলে কোস্টগার্ড ও নৌ-পুলিশ ব্যবস্থা নেবে। নদীপথে পশুবাহী ট্রলারে যাতে অতিরিক্ত বোঝাই না হয় সেদিকে কোস্টগার্ড ও নৌ-পুলিশ লক্ষ্য রাখবে। এছাড়া পশুর চামড়ার দাম নির্ধারণ ও যাথাযথভাবে বিপণনের বিষয় শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নেবে।
‘এবারের ঈদুল আজহার জামাত মসজিদে আদায়ের জন্য ধর্ম মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি অন্যবারের চেয়ে কম সময়ের জন্য বন্ধ রাখা যেতে পারে। শ্রমিকদের বেতন-বোনাস যথাসময়ে পরিশোধে বিজিএমইএ ও কারখানার মালিকরা নেবেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সভাপতিত্বে সভায় জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দীন, সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব মো. শহিদুজ্জামান, আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।