- জুলাই ২৮, ২০২৫
- লিড নিউস
- 3

নিউজ ডেস্কঃ সিলেটের বিশ্বনাথে গভীর রাতে বসতঘরের দরজা ভেঙে ঘরের ভিতর প্রবেশ করে যুবলীগ কর্মীর স্ত্রী ৩ সন্তানের জননীকে ধর্ষণের চেষ্টা ও মারধর করে রক্তাক্ত আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শনিবার দিবাগত গভীর রাতে উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নের চক রামপ্রসাদ (লামারচক) গ্রামে যুবলীগ কর্মী আব্দুস শহীদের বাড়িতে এই ঘটনা ঘটেছে। ধর্ষণ করতে না পেরে হামলাকারীরা যুবলীগ নেতার স্ত্রীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে রক্তাক্ত আহত করে ফেলে গেলে স্থানীয়রারা তার স্ত্রীকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।
এঘটনায় রোববার (২৭ জুলাই) বিকেলে যুবলীগ কর্মী আব্দুস শহিদের স্ত্রী বাদী হয়ে ৩ জনের নাম উল্লেখ করে বিশ্বনাথ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযুক্তরা হলেন- উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নের আজিজনগর গ্রামের মৃত আছদ্দর আলীর পুত্র তোরণ মিয়া (৩১), চক রামপ্রসাদ (লামারচক) গ্রামের মৃত ফজলুর রহমানের পুত্র আলমগীর হোসেন (২৫), একই গ্রামের মৃত ইছমত উল্লার পুত্র আলতাবুর রহমান (৪০)। এছাড়াও অভিযোগে আরো ২/৩ জনকে অজ্ঞাতনামা অভিযুক্ত রাখা হয়েছে।
লিখিত অভিযোগে বাদী উল্লেখ করেন, ঘটনার দিন দিবাগত রাতে তিনি সন্তানদেরকে নিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। আর গভীর রাতে অভিযুক্তরা তাদের বসতঘরের দরজা ভেঙে ঘরের ভিতরে প্রবেশ করেই তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এসময় তিনি (বাদী) তাদেরকে প্রতিহতের চেষ্টা করলে অভিযুক্তরা তাদের হাতে থাকা ধারালো অস্ত্র দিয়ে বাদীর মাথায় কুপ দিয়ে গুরুতর আহত করে। তার আর্ত্নচিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসতে দেখে অভিযুক্তরা দ্রুতই ঘটনাস্থল ত্যাগ করে চলে যায়। তাছাড়া ওই ঘটনার পূর্বেও প্রায় সময় অভিযুক্তরা বাদীকে রাস্তায় দেখলে বিভিন্ন রকমের অশালীন কথা-বার্তা ও খারাপ আচরণ প্রদর্শন করতো। এছাড়াও প্রায় সময় খারাপ মনোভাব নিয়ে বাদীর বাড়ির আশপাশে অভিযুক্তরা ঘুরাফেরা করেছে বলে বাদী থানায় দায়ের করা অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেন।
এব্যাপারে অভিযুক্ত আলতাবুর রহমান বলেন, ঘটনাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। পুলিশ গ্রামের লোকজনকে জিজ্ঞাসা করলে ঘটনার কোনো সত্যতা পাবে না বলে তিনি দাবি করেন।
জানতে চাইলে অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা বিশ্বনাথ থানার এসআই জহিরুল ইসলাম বলেন, অভিযুক্তদের সাথে দীর্ঘদিন ধরে বাদী পক্ষের বিরোধ রয়েছে। তাই বিষয়টি তার (জহিরুল) কাছে একটু সন্দেহজনক মনে হচ্ছে। তবে অধিকতর তদন্ত করলে ঘটনার আসল রহস্য বেরিয়ে আসবে বলে তিনি মনে করেন।