• নভেম্বর ২৬, ২০২৫
  • শীর্ষ খবর
  • 2
রায়হান হত্যা : পলাতক ৫ আসামীর যুক্তিতর্ক সম্পন্ন করেছে রাষ্ট্রপক্ষ

নিউজ ডেস্কঃ সিলেটের বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে পুলিশের নির্মম নির্যাতনে রায়হান হত্যা মামলার যুক্তিতর্ক বুধবার (২৬ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ওইদিন রাষ্ট্রপক্ষ পলাতক ৫ আসামির পক্ষে যুক্তিতর্ক সম্পন্ন হলেও হত্যা মামলার চূড়ান্ত যুক্তিতর্ক শেষ না হওয়ায় আদালত হত্যা মামলায় কারাবন্দি একমাত্র আসামি এএসআই আশেক আলীর আইনজীবী সময়ের আবেদন করলে আদালত ফের বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) যুক্তিতর্কের দিন ধার্য করেন।

বুধবার (২৫ নভেম্বর) দুপুরে সিলেট মহানগর দায়রা জজ মুন্সী আব্দুল মজিদের আদালতে এই যুক্তিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়।

এসব তথ্য নিশ্চিত করেন রাষ্ট্রপক্ষের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট বদরুল ইসলাম চৌধুরী। তিনি জানান, বুধবার আদালতে পলাতক ৫ আসামীর যুক্তিতর্ক সম্পন্ন করেছে রাষ্ট্রপক্ষ। পরে আসামী পক্ষের আইনজীবীর আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালতের বিচারক ফের বৃহস্পতিবার যুক্তিতর্কের দিন ধার্য করেন। যুক্তিতর্ক বৃহস্পতিবার শেষ হলে রায়ের দিন ধার্য করবেন আদালত।

আদালত সূত্র জানায়, হত্যা মামলার প্রধান আসামি বন্দরবাজার ফাঁড়ির সাবেক ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন ভুঁইয়া ৪ আগস্ট হাইকোর্ট থেকে জামিন পান এবং ১০ আগস্ট কারাগার থেকে মুক্তি পান। পরে তার জামিন স্থগিত হলেও তিনি নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ না করে পলাতক রয়েছেন।

২০২০ সালের ১০ অক্টোবর রাতের দিকে সিলেট মহানগর পুলিশের বন্দরবাজার ফাঁড়িতে তুলে নিয়ে রায়হান আহমদকে নির্মমভাবে নির্যাতন করা হয়। পরদিন ১১ অক্টোবর তাঁর মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় রায়হানের স্ত্রী পুলিশি হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনে মামলা করলে তদন্তে নির্যাতনের সত্যতা পাওয়া যায়। ঘটনার পরপরই এসআই আকবরসহ চারজনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয় এবং তিনজনকে প্রত্যাহার করা হয়।

পরবর্তীতে পিবিআই কনস্টেবল হারুনসহ তিনজনকে গ্রেফতার করে এবং ২০২০ সালের ৯ নভেম্বর কানাইঘাট সীমান্ত থেকে প্রধান অভিযুক্ত আকবরকে আটক করে। ২০২১ সালের ৫ মে আদালতে পিবিআই অভিযোগপত্র জমা দেয়, যেখানে ছয়জনকে আসামি করা হয়—এসআই আকবর হোসেন ভুঁইয়া, এএসআই আশেক এলাহী, কনস্টেবল হারুনুর রশিদ, কনস্টেবল টিটু চন্দ্র দাস, এসআই হাসান উদ্দিন ও আবদুল আল নোমান। একই বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর বিচার কার্যক্রম শুরু হয় এবং ৬৯ জন সাক্ষীর মধ্যে ৬৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে এখন চলছে চূড়ান্ত যুক্তিতর্ক।