- নভেম্বর ২৬, ২০২৫
- জাতীয়
- 3
নিউজ ডেস্কঃ বিএনপির ২৩৭ আসনে ঘোষিত মনোনয়নে অসন্তোষ দেখা দেওয়ায় বেশ কিছু আসনে রিভিউ আবেদনের ভিত্তিতে মনোনয়ন পুনর্বিবেচনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। সোমবার রাতে অনুষ্ঠিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। বুধবার সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছে স্থায়ী কমিটি।
জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিভিন্ন আসনে অভ্যন্তরীণ কোন্দল নিরসনে উদ্যোগ নিয়েছে বিএনপি। দলের ঘোষিত প্রার্থীদের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ, ত্যাগী ও যোগ্য নেতাদের বঞ্চিত করা বা অনুপ্রবেশকারী ও বিতর্কিতদের মনোনয়ন দেওয়ার অভিযোগ ওঠায় এসব আসনে পুনর্বিবেচনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে নির্বাচনের পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতির অংশ হিসেবে দ্রুত ইশতেহার চূড়ান্ত করার সিদ্ধান্ত হয়।
বৈঠকে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সভাপতিত্ব করেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বৈঠকসূত্র জানায়, ৩ নভেম্বর ২৩৭ আসনে প্রাথমিক মনোনয়ন ঘোষণার পর অর্ধশতাধিক আসনে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় হতাহতও হয়েছে, যা নিয়ে দল বিব্রত। এমন পরিস্থিতিতে তদন্তসাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তাব করেন নেতারা। তারা মনে করেন, বিতর্কিত প্রার্থীদের সরিয়ে ত্যাগী ও যোগ্য নেতাদের মূল্যায়ন করলে বেশিরভাগ জায়গায় কোন্দল কমে আসবে। অনেক স্থানে বয়োবৃদ্ধ ও মাঠে সক্রিয় না থাকা নেতাদের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ ওঠে। বর্তমান জেন–জি প্রজন্মের যুগে পরিবর্তনের হাওয়া বিবেচনায় রেখে মনোনয়ন পুনর্বিন্যাসের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন স্থায়ী কমিটির সদস্যরা।
বৈঠকে আসন্ন নির্বাচনের ইশতেহার নিয়েও আলোচনা হয়। বিএনপির ৩১ দফার মূল বিষয়—অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন, নির্দলীয় সরকারের অধীনে ভোট, নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতা, মানবাধিকার সুরক্ষা, বাকস্বাধীনতা, স্বচ্ছ প্রশাসন এবং জাতীয় অর্থনীতি পুনরুদ্ধার—এসব ইশতেহারে বিশেষভাবে অন্তর্ভুক্ত থাকবে। পাশাপাশি জুলাই সনদের আলোকে নির্বাচন কমিশন, মানবাধিকার কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশনসহ রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর পূর্ণ স্বাধীনতা ও নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করার পরিকল্পনাও গুরুত্ব পাচ্ছে।
দলীয় সূত্র জানায়, তারেক রহমান দেশের রাজনৈতিক সংকট, গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও রাষ্ট্রীয় সংস্কার নিয়ে নিয়মিত বক্তব্য দিয়ে আসছেন। গণতন্ত্রের পুনর্জন্ম, জনগণের শাসন প্রতিষ্ঠা ও রাষ্ট্র পুনর্গঠনের তাঁর মূল বক্তব্যগুলোই ইশতেহারে প্রতিফলিত হবে। তফসিল ঘোষণার পর বড় পরিসরে অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিএনপি আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের ইশতেহার প্রকাশ করবে।
