• নভেম্বর ২৮, ২০২৫
  • শীর্ষ খবর
  • 2
সিলেটে চা শ্রমিক ও পাত্র জনগোষ্ঠীর উদ্যোগে এডুকেশন ফেয়ার অনুষ্ঠিত

নিউজ ডেস্কঃ সিলেটে চা শ্রমিক ও পাত্র জনগোষ্ঠীর উদ্যোগে শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত হয়েছে এডুকেশন ফেয়ার।

সিলেটের দলদলি চা বাগানের দলদলি টিলায় আয়োজিত এ মেলায় অংশ নেন একডো’র বিভিন্ন প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত নারী, যুবক, স্কুল–কলেজের শিক্ষার্থীসহ দুই সম্প্রদায়ের শতাধিক মানুষ।

একডো’র প্রকল্প সমন্বয়কারী তাসনিম চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে পাত্র ও চা জনগোষ্ঠীর বিভিন্ন বয়সী নারী–পুরুষ একডো’র মানবাধিকারভিত্তিক প্রশিক্ষণ থেকে অর্জিত জ্ঞান উপস্থাপন করেন এবং সংগঠনের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।

প্রশিক্ষণ শেষে অধিকার আদায়ে দুই সম্প্রদায়ের নানা সফলতার বিষয়েও আলোচনা হয়।

এথনিক কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট (একডো)–এর সহযোগিতায় আয়োজিত এডুকেশন ফেয়ারে হিলুয়াছড়া, মালনীছড়া, কেওয়াছড়া, লাক্কাতুরা ও দলদলি চা বাগানের শ্রমিকরা অংশ নেন। পাশাপাশি অংশ নেন আলাইবহর, ভাড়ারহাট, সিদাইয়েরগুল, কুশাল ও পাইকপাড়া এলাকার পাত্র সম্প্রদায়ের প্রায় দুইশতাধিক প্রতিনিধি।

অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন এথনিক কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের নির্বাহী পরিচালক লক্ষ্মীকান্ত সিংহ, সিলেট উইমেনস জার্নালিস্ট ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শাকিলা ববি, দলদলি চা বাগানের পঞ্চায়েত সভাপতি মিন্টু দাস, নারী মঞ্চের সভাপতি সুমি নায়েক এবং আলাইবহর এডুকেশন সাপোর্ট সেন্টারের সভাপতি নিবারণ পাত্র।

ফেয়ারে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় অংশ নেন চা শ্রমিকরা। তারা পরিবেশন করেন ঝুমুর নাচ, গান এবং চা শ্রমিকদের দীর্ঘদিনের বঞ্চনা তুলে ধরে ‘সবুজ বৃক্ষের নীল কষ্ট’ নামের পথনাটক।

পাত্র সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে আলাইবহর গ্রামের শ্যামলী পাত্র পাত্র ভাষায় নিজের লেখা গান পরিবেশন করেন।

এছাড়া শ্রম আইন, অধিকার সচেতনতা ও সন্তানদের শিক্ষার বিষয়ে দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে ঐক্যবদ্ধ অবস্থানের ঘোষণা দেওয়া হয়।

এ বছর মাধ্যমিক পাস করে কলেজে ভর্তি হওয়া চা বাগানের ১১ শিক্ষার্থীকেও সবার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়।

চা-শ্রমিক নারী মঞ্চের সভাপতি সুমি নায়েক বলেন, ‘একডোসহ বিভিন্ন এনজিওর প্রশিক্ষণে আমরা নিজেদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন হয়েছি। এই সচেতনতা সব চা শ্রমিকদের মধ্যে ছড়িয়ে দিতেই এডুকেশন ফেয়ার আয়োজন করেছি।’

এথনিক কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের নির্বাহী পরিচালক লক্ষ্মীকান্ত সিংহ বলেন, ‘আমাদের প্রকল্প চলাকালীন আমরা তাদের বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিয়েছি। এখন প্রকল্প শেষ হলেও তারা ঐক্যবদ্ধ রয়েছে। এডুকেশন ফেয়ার তারা নিজেরাই আয়োজন করে আমাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছে-এটাই আমাদের কাজের সাফল্য।’