- ডিসেম্বর ২, ২০২৫
- শীর্ষ খবর
- 3
নিউজ ডেস্ক: সিলেটে ইটভাটায় বিনিয়োগের কথা বলে ১২ লাখ ৫৭ হাজার টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে ইটভাটার মালিকের উপর। সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলার খান ব্রিকস কোম্পানির (KBC) মালিক এনায়েতুর রহমান খান রাজু (৫০) ও তার ভাতিজা মোস্তাকুর রহমানের (৩৫) বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ করেছেন সিলেটের তরুণ ব্যবসায়ী প্রভাত পাল।
এদিকে বিনিয়োগকৃত টাকা ফেরত না দেওয়া এবং প্রতিশ্রুত ইটাও প্রদান না করায় সিলেটের অতিরিক্ত চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেছেন প্রতারণার শিকার প্রভাত পাল। সি আর মামলা নং-১৫৫৯ /২০২৫। গত ১৮ নভেম্বর আদালত মামলাটি গ্রহণ করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার অভিযুক্তরা হলেন- এনায়েতুর রহমান খান রাজু (৫০) ও তার ভাতিজা মোস্তাকুর রহমান (৩৫)।
মামলার আবেদনে প্রভাত পাল অভিযোগ করেন, তিনি ২০২৩ সালে বালাগঞ্জে রাজু ও মোস্তাকুরের মালিকানাধীন খান ব্রিকস কোম্পানি (KBC) নামক প্রতিষ্ঠান থেকে দুই লাখ ৫০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করেন। এসময় আসামিরা তাকে আশ্বাস দিয়েছিলেন, তাকে এই টাকার বিনিময়ে ২৫ হাজার ইট প্রদান করা হবে। ইট প্রদান না করা হলে লাভসহ ৩ লাখ ৩৭ হাজার টাকা প্রদান করবেন। এরপর ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে ২ নং আসামি মোস্তাকুর রহমান আর্থিক সংকটের কথা বলে প্রভাতের কাছ থেকে নগদ ৪ লাখ টাকা ঋণ নেন। এরপর ইট ক্রয় বাবদ ১ নং আসামিকে দুই দফার আরও আরও ৫ লাখ ২০ টাকা প্রদান করেন প্রভাত।
প্রভাত পাল খবরের কাগজকে বলেন, ইট প্রদানের কথা বলে কয়েকদফায় টাকা নিলেও রাজু ও মোস্তাকুর আমাকে ইট প্রদান করেননি। তারা আমার সাথে প্রতারণা করে ইটভাটায় বিনিয়োগের কথা বলে ১২ লাখ ৫৭ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছে। এনিয়ে বালাগঞ্জে তাদের সাথে সালিশ বৈঠকে বসলে তারা আমার সকল পাওনা টাকা পরিশোধ করার প্রতিশ্রুতি প্রদান করে। এরপর গত ১৫ মে মোস্তাকুর রহমান তার বাবার নামে ডাচ বাংলা ব্যাংকের একাউন্টের ৬ লাখ টাকার দুটি চেক আমাকে প্রদান করেন। তখন আমি খোঁজ নিয়ে দেখি এই চেকেও আমার প্রতারণা করেছে তারা। আমি খোঁজ নিয়ে জানতে পারি মোস্তাকুরের বাবা আগেই মারা গেছেন। ওই একাউন্টে কোন লেনদেন নেই। বাবা স্বাক্ষর জাল করে চেকগুলি প্রদান করেছেন মোস্তাকুর। এরপর এ ব্যাপারে পরে তাদের সাথে যোগাযোগ করলে তারা টাকা পাওয়ার কথা অস্বীকার করেন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত এনায়েতুর রহমান খান রাজু ও মোস্তাকুর রহমানের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাদের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
