- ডিসেম্বর ৯, ২০২৫
- শীর্ষ খবর
- 3
নিউজ ডেস্কঃ সিলেট নগরীর সাগরদীঘিরপাড় এলাকায় সাইবার মামলার একটি পরোয়ানাভুক্ত আসামিকে ধরতে গিয়ে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) এসআই খোরশেদ আলম ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হয়েছেন। গত সোমবার (৮ ডিসেম্বর) রাত ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
আহত খোরশেদ আলমকে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রাতেই তার অস্ত্রোপচার সম্পন্ন করে বর্তমানে তিনি নিবিড় পর্যবেক্ষণে আছেন। পাশাপাশি মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) ভোরে ওই আসামিকে এসএমপি সিলেট কোতোয়ালি ও এয়ারপোর্ট থানা পুলিশের যৌথ অভিযানে এয়ারপোর্ট থানাধীন মজুমদারী এলাকার সৈয়দ বাড়ীর একটি মেস থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডি ঢাকার ডিআইজি ড. মো. আল মামুনুল আনসারি মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) সিলেট সিআইডি কার্যালয়ে দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে এই তথ্য জানান। এসময় উপস্থিত ছিলেন সিআইডি সিলেটের পুলিশ সুপার সুজ্ঞান চাকমা ও সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।
এসময় ডিআইজি ড. মো. আল মামুনুল আনসারি বলেন, এসআই খোরশেদ আলম ওই সাইবার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ছিলেন। তিনি আহত হয়েছেন শুনে আমি রাতেই ঢাকা থেকে সিলেট এসেছি। কোনো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের উপর এধরনের হামলা হলে আমরা কঠোর পদক্ষেপ নেবো।
সিলেট সিআইডি জানায়, সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ (এসএমপি) এর কোতোয়ালি মডেল থানায় এক নারীর করা সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ ২০২৫ এর ১৭/১৯(১) (ক)/২৫ ধারার ৭নং মামলার পলাতক আসামি রহিম উদ্দিন রাজু (৩৩)। সে কানাইঘাট উপজেলার পশ্চিম কোনাগ্রামের রফিক উদ্দিনের ছেলে। বর্তমানে সিলেট সিটি করপোরেশনের শাপলাবাগ, টিলাগড় এলাকার বাসিন্দা। সোমবার রাতে সিআইডি সিলেট মেট্রো ও জেলা এর তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মো. খোরশেদ আলম এবং সঙ্গীয় কনস্টেবল মো. জাকির হোসেন ও এসএমপি’র কোতোয়ালি থানাধীন সাগরদিঘীরপাড় এলাকায় রিকুইজিশন পূর্বক কোতোয়ালি থানা পুলিশের সহযোগিতায় তাকে গ্রেপ্তারের জন্য গ্রেফতারের জন্য নগরীর সাগরদিঘির পাড় এলাকায় যান। তখন খোরশেদ আলমকে আসামী রহিম উদ্দিন রাজু (৩৩) কার সাথে থাকা ছুরি দিয়ে বাম বগলের নিচে আঘাত করে পালিয়ে যায়।
এরপর রাজুকে গ্রেপ্তারের জন্য সিআইডি, সিলেট মেট্রো ও জেলার এসআই মো. আব্দুল মুকিত, এসআই মো. মোস্তফা আলী, সঙ্গীয় ফোর্স ও এসএমপি সিলেট কোতোয়ালি ও এয়ারপোর্ট থানা পুলিশের যৌথ অভিযানে মঙ্গলবার ভোর রাতে এয়ারপোর্ট থানাধীন মজুমদারী এলাকার সৈয়দ বাড়ীর একটি মেস হতে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় তার দেহ তল্লাশি করে তার নিকট থেকে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সদস্য মর্মে একটি ভিজিটিং কার্ড পাওয়া যায়। অভিযান পরিচালনা করে তার দেখানো মতে এসআই মো. খোরশেদ আলমকে যেই ছুরি দ্বারা আঘাত করা হয়েছিল তা ঘটনাস্থলের পাশে সাগরদীঘি এলাকাস্থ নালা থেকে উদ্ধারের জন্য অভিযান চলমান রয়েছে।
ডিআইজি ড. মো. আল মামুনুল আনসারি বলেন, এই সাইবার সুরক্ষা মামলাটি সিআইডি, সিলেট মেট্রো ও জেলাকে তদন্ত করার জন্য নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত। সেই অনুযায়ী মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই খোরশেদ আলম কাজ করছিলেন। আসামি রহিম উদ্দিন রাজু প্রফেশনাল অপরাধী। তার বিরুদ্ধে CDMS পর্যালোচনা করে আরও ৬টি মামলা পাওয়া যায়। যে মামলাগুলো এসএমপির কোতোয়ালি থানা, শাহপরান (রহ.) থানা, কানাইঘাট থানায় ২০১১, ২০১৭, ২০১৮, ২০২১ ও ২০২২সালে করা হয়েছিল। তার সাথে আমি নিজে কথা বলেছি। সে এলএলবি পড়েছে। আইন ভাল জানে। যার জন্য গ্রেপ্তার হওয়ার পর সে খুব চতুরতার সাথে আমাদের সাথে কথা বলছে। তবে পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের উপর এই ধরনের হামলা আমরা কোনোভাবেই সহজভাবে নেবো না।
