• আগস্ট ২৬, ২০২০
  • জাতীয়
  • 374
সিনহা হত্যা মামলায় জবানবন্দি দিয়েছেন এপিবিএন সদস্য

নিউজ ডেস্কঃ মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন মামলায় পরে যুক্ত হওয়া আসামি কনস্টেবল আবদুল্লাহ।

তিনি আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সদস্য এবং ঘটনার সময় চেকপোস্টে দায়িত্বরত ছিলেন। বুধবার (২৬ আগস্ট) সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারাহ।

জবানবন্দি গ্রহণ শেষে তাকে কারাগারে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। এর আগে বিকেলে তাকে আদালতে নিয়ে আসেন র‌্যাব-১৫ এর সদস্যরা। মামলার তদন্তসংশ্লিষ্টরা গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।

তদন্তসংশ্লিষ্টরা জানান, সিনহা হত্যা মামলার বেশ অগ্রগতি হয়েছে। কিন্তু তদন্তের স্বার্থে আসামিদের আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা দরকার। মামলায় সন্দিগ্ধ আসামি হিসেবে যোগ হওয়া সাতদিনের রিমান্ডে থাকা এপিবিএনের তিন সদস্যের মাঝে কনস্টেবল আবদুল্লাহ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন বুধবার।

গত ১৮ আগস্ট কক্সবাজার র‌্যাব-১৫ এর একটি দল এপিবিএনের তিন সদস্যকে জিজ্ঞাবাসাদের জন্য এনে তাদের সিনহা হত্যা মামলায় সন্দিগ্ধ আসামি হিসেবে যুক্ত করে।

তারা হলেন- আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের উপ-পরিদর্শক শাহাজাহান, কনস্টেবল রাজিব ও আব্দুল্লাহ। এরা তিনজনই ৩১ জুলাই রাতে শামলাপুর তল্লাশি চৌকিতে দায়িত্বরত ছিলেন।

১৮ আগস্টই মেজর সিনহা হত্যা মামলায় কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে তাদের বিরুদ্ধে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করলে শুনানি শেষে ৭ দিনের রিমান্ড নেয়ার আদেশ দেন বিচারক তামান্না ফারাহর আদালত। এবং ২২ আগস্ট রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের র‌্যাব হেফাজতে নেয়া হয়। ২৮ আগস্ট তাদের রিমান্ড শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।

এদিকে প্রথম দফায় সাত দিনের রিমান্ড শেষে গত সোমবার মামলার প্রধান তিন আসামি ওসি প্রদীপ, লিয়াকত ও নন্দলাল এবং অপর চার পুলিশ সদস্যের সবার চার দিন করে আবারও রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

ওসি প্রদীপ, লিয়াকত ও নন্দলাল ছাড়া অন্য চার পুলিশ সদস্য হলেন- বহিষ্কৃত কনস্টেবল সাফানুর করিম, কনস্টেবল কামাল হোসেন, কনস্টেবল আবদুল্লাহ আল মামুন ও এএসআই লিটন মিয়া।

উল্লেখ্য, গত ৩১ জুলাই রাত সাড়ে ১০টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশ পরিদর্শক লিয়াকত আলীর গুলিতে নিহত হন মেজর (অব.) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। ঘটনার পর পুলিশ বাদী হয়ে টেকনাফ থানায় দুটি ও রামু থানায় একটি মামলা করে। এ মামলায় সিনহার দুই সফরসঙ্গী কারান্তরীণ।

গত ৫ আগস্ট কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হত্যা মামলা করেন সিনহা মো. রাশেদ খানের বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস। এতে নয়জনকে আসামি করা হয়।