- আগস্ট ২৯, ২০২০
- খেলাধুলা
- 554
ক্রীড়া ডেস্কঃ সবাইকে চমকে দিয়ে বার্সেলোনা ছাড়ার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছেন লিওনেল মেসি। তবে আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড যে চলে যাবেন তা গত জুলাই থেকেই জানতো বার্সার বোর্ড।
কিন্তু বুরোফ্যাক্স (প্রত্যায়ন পত্র) বিষয়টা প্রকাশ্যে এনেছে।
শনিবার (২৯ আগস্ট) এক রিপোর্টে এমনটাই দাবি করেছে স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম ‘মার্কা’।
গত মঙ্গলবার বুরোফ্যাক্সের মাধ্যমে ক্যাম্প ন্যু ছাড়ার কথা বার্সার বোর্ডকে জানিয়ে দিয়েছেন মেসি। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই চমকে গেছেন মেসি ও বার্সা ভক্তরা। ২০ বছরের বন্ধন ছিন্ন করে তিনি চলে যাবেন বিষয়টা ভাবতেই পারছেন না অনেকে। অনেক সমর্থক ক্যাম্প ন্যুয়ের সামনে বিক্ষোভেও অংশ নিয়েছেন। পরে করোনা সংক্রমণের যুক্তি দেখিয়ে সেই বিক্ষোভ ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ।
কিন্তু সত্যটা হচ্ছে, মেসির চলে যাওয়ার বিষয়টি জুলাই থেকেই জানতো বার্সা। ফলে সমর্থকদের অনেকে যেমন চমকে গেছেন, বোর্ড কর্তারা সেভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছেন না। এই মৌসুমই যে বার্সায় মেসির শেষ তা প্রায় দেড় মাস আগেই তাদের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছিলেন তার এজেন্ট। তবে মঙ্গলবার বিষয়টি আনুষ্ঠানিক রূপ পায়।
কিন্তু সব জেনেও এতদিন চুপ ছিলেন বার্সার বোর্ড কর্তারা। এমনকি আনুষ্ঠানিকভাবে বুরোফ্যাক্স পাওয়ার পরও অধিনায়ককে চুক্তির শর্ত দেখিয়ে থেকে যেতে বলা হচ্ছে। মেসির সঙ্গে বার্সার চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, মৌসুম শেষ চাইলে ফির এজেন্ট হিসেবে ক্লাব ছাড়তে পারবেন তিনি। কিন্তু বার্সা যুক্তি হচ্ছে গত ১০ জুন এই শর্তের পরিসমাপ্তি ঘটেছে। অর্থাৎ মৌসুম শেষের ২০ দিন আগে না জানানোর কারণে মেসির চুক্তি ফের চালু হয়ে গেছে।
কিন্তু মেসি ও তার আইনজীবীদের যুক্তি হচ্ছে, যেহেতু করোনা মহামারির কারণ এবার মৌসুম শেষ হয়েছে আগস্টে, ফলে চুক্তির শর্ত এখনও প্রযোজ্য। কারণ নতুন মৌসুম শুরুর ২০ দিন আগেই তিনি ক্লাবকে বুরোফ্যাক্সের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু বার্সা এখনও ওই নির্দিষ্ট তারিখকেই সামনে আনছে। এখন দুই পক্ষের মধ্যে আইনি লড়াইয়েরও সম্ভাবনা দেখা গিয়েছে।
এদিকে ক্লাব ছাড়া নিয়ে গতকাল (২৮ আগস্ট) বোর্ড কর্তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চেয়ে আবেদন জানিয়েছিলেন মেসির আইনজীবীরা। মূলত ক্লাবের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণভাবে সম্পর্ক ছিন্ন করতেই এই পথে হেঁটেছেন মেসি। কিন্তু ২৪ ঘণ্টা পার হয়ে যাওয়ার পরও এ নিয়ে কোনো জবাব দেয়নি বার্সার বোর্ড। তারা জানিয়ে দিয়েছে, তারা শুধু মেসির সঙ্গে নতুন চুক্তি নিয়েই আলোচনায় বসবে, ক্লাব ছাড়া নিয়ে নয়।
বার্সার পক্ষ থেকে এটাও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, মেসিকে কিনতে আগ্রহী ক্লাবকে তার রিলিজ ক্লজের ৭০০ মিলিয়ন ইউরো দিতে হবে। এর কমে কিছুতেই তারা দলের সেরা খেলোয়াড়কে ছাড়বে না।