- নভেম্বর ৯, ২০২০
- আন্তর্জাতিক
- 401
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ তৈরি করা করোনা ভাইরাসের প্রাথমিক ভ্যাকসিনটি শতকরা ৯০ শতাংশেরও বেশি সুরক্ষা দিতে পারে বলে প্রাথমিক বিশ্লেষণে দাবি করেছে মার্কিন ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি ফাইজার ও জার্মান কোম্পানি বায়োএনটেক।
একই সঙ্গে এই প্রাপ্তিকে প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা ‘বিজ্ঞান ও মানবতার জন্য দুর্দান্ত দিন’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
তাদের মতে, এর ফলে আরও ভালো চিকিৎসার পাশাপাশি এই ভ্যাকসিনকে করোনাকালীন নিষেধাজ্ঞা থেকে বেরিয়ে আসার সেরা উপায় হিসেবে দেখা হচ্ছে।
প্রতিষ্ঠান দু’টির দাবি, তাদের ভ্যাকসিনটি ছয়টি দেশের ৪৩ হাজার ৫শ জনের উপর পরীক্ষা করা হয়েছে। এতে সুরক্ষা ছাড়া আর কোনো উদ্বেগ লক্ষ্য করা যায়নি। একই সঙ্গে কোম্পানিগুলি মাসের শেষে ভ্যাকসিনটি ব্যবহারে জরুরি অনুমোদনের জন্য আবেদন করার পরিকল্পনা করেছে।
পূর্ববর্তী পরীক্ষাগুলিতে দেখা যায়, ভ্যাকসিনটি একদিকে যেমন শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি করতে সক্ষম তেমনি এর ‘টি-কোষ’ নামে একটি ইমিউন সিস্টেম করোনা ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করার জন্য কার্যকরী। তিন সপ্তাহের ব্যবধানে এর দু’টি ডোজ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, দক্ষিণ আফ্রিকা ও তুরস্কে পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করে দেখা গেছে, দ্বিতীয় ডোজটি নিলে এটি আরো কার্যকরী হয়ে ওঠে।
এদিকে ভ্যাকসিন উৎপাদন প্রতিষ্ঠান ফাইজার জানিয়েছে, তারা বিশ্বাস করে যে এই বছরের শেষের দিকে এটি ৫০ মিলিয়ন ডোজ এবং ২০২১ সালের মধ্যে প্রায় ১ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডোজ সরবরাহ করতে সক্ষম হবে। তবে এটি নিয়ে আরো কিছু পরীক্ষা করা হবে। তবে ভ্যাকসিনটি কতদিন কার্যকরী থাকবে এবং বয়সের পার্থক্য অনুযায়ী কোনো প্রভাব পড়বে কিনা, সে বিষয়টি এখনো স্পষ্ট নয়।
তবে ফাইজারের চেয়ারম্যান ড. অ্যালবার্ট বাউর-লা জানান, বিশ্বব্যাপী এই স্বাস্থ্য সঙ্কটের অবসান ঘটিয়ে সবাইকে সাহায্য করার জন্য আমরা এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপের কাছাকাছি। আর বায়োএনটেকের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা প্রফেসর উগুর সাহিন এই ফলাফলকে একটি মাইলফলক হিসাসেবে আখ্যায়িত করেছেন।
**তথ্যসূত্র বিবিসি